অভিবাসী শ্রমিকের মারাত্মক সংকটে সিঙ্গাপুর শ্রমখাত

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম ধনী দেশ সিঙ্গাপুর। সিঙ্গাপুর বেশ ভালোভাবে সামাল দিচ্ছে মহামারি করোনা। সারা বিশ্বে সংক্রমণের ক্ষেত্রে ১০৫তম স্থানে রয়েছে দেশটি।

করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণে সিঙ্গাপুর সরকার বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা থেকে সেদেশে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই ঘোষণা আসার কয়েকদিন আগে সিঙ্গাপুর ভারতীয়দের ক্ষেত্রেও প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। সিঙ্গাপুরের কোম্পানিগুলো এতে করে অভিবাসী শ্রমিক সংকটে পড়েছে।

এসব দেশের নাগরিক এবং দেশগুলোতে সবশেষ ১৪ দিন অবস্থান করা কাউকে সিঙ্গাপুরে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। এমনকি দেশটির ভেতর দিয়ে অন্য দেশেও যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না।

সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ভারতের প্রতিবেশী এই দেশগুলো করোনার সংক্রমণের বড় ধরনের ঝুঁকিতে রয়েছে। তাছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে সিঙ্গাপুরেও সংক্রমণ বাড়ায় এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

সিঙ্গাপুর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, এখন পর্যন্ত ৬১ হাজার ৩১১ মানুষ সংক্রমিত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬০ হাজার ৮৭৩ জন সুস্থ হয়েছে। করোনায় মাত্র ৩১ জন মারা গেছেন।

সিঙ্গাপুর সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে সিঙ্গাপুরে যেতে পারছেন না বাংলাদেশসহ ৪টি দেশের বিপুল সংখ্যক শ্রমিক। এতে দেশটির শ্রমখাত মারাত্মক সংকটে পড়েছে।

সিঙ্গাপুর-ভিত্তিক চ্যানেল নিউজ এশিয়া (সিএনএ) বরাতে জানা যায়, বাংলাদেশ-ভারতের শ্রমিকদের ওপর সিঙ্গাপুরের বেশকিছু কোম্পানি ঐতিহ্যগতভাবে নির্ভরশীল। বিপাকে পড়ে বিকল্প হিসেবে অন্য দেশের শ্রমিক খুঁজছে সেসব প্রতিষ্ঠান। এর ফলে চলমান প্রকল্পগুলোর নির্মাণাধীন কাজ বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হচ্ছে, এতে প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ হতে দেরি হবে।

সিঙ্গাপুর করোনা আন্তঃমন্ত্রণালয় টাস্ক ফোর্সের সহ-সভাপতি ও শিক্ষামন্ত্রী লরেন্স ওয়াং বলেছেন, সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে নির্মাণ খাতের মতো শিল্পগুলোতে। ছোট ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো এবং ঠিকাদাররা ক্ষতির মুখে পড়বে।

সংবাদ সূত্রঃ চ্যানেল নিউজ এশিয়া (সিএনএ)