আয়া সোফিয়া নিয়ে জাতিসংঘের সমালোচনা তুরস্ক খারিজ করে দিল

আয়া সোফিয়া নিয়ে জাতিসংঘের সমালোচনা তুরস্ক খারিজ করে দিল। তাদের দাবি, কোনো পরিবর্তন হয়নি ভবনের। বছরখানেক আগে আয়া সোফিয়াকে মসজিদে পরিণত করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান। কিন্তু এই ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট নিয়ে জাতিসংঘ চিন্তিত। ইউনেস্কোর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আয়া সোফিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা খুবই উদ্বিগ্ন।

তুরস্ক জানিয়েছে, ইউনেস্কোর এই মনোভাবে তারা খুবই অবাক হয়েছে। তাদের মতে, এই মনোভাব পুরোপুরি ‘রাজনৈতিক ও পক্ষপাতপূর্ণ’।
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে দাবি করা হয়েছে, মসজিদ করা হলেও এই ঐতিহাসিক ভবনের কোনো পরিবর্তন করা হয়নি। এই সিদ্ধান্তের কোনো নেতিবাচক প্রভাব ভবনের উপর পড়েনি।

‘ইস্তানবুলের ঐতিহাসিক অঞ্চল’ শিরোনামে ইউনেস্কো একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করেছে। সেখানেই তারা আয়া সোফিয়া নিয়ে গভীর চিন্তার কথা জানিয়েছে। কিন্তু তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, আয়া সোফিয়া নিয়ে যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, তা মেনে নেয়া যায় না। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই নিবন্ধ লেখা হয়েছে।

গত শুক্রবার বিশাল মুসল্লি জমায়েত হয় আয়া সোফিয়ায়। ধর্মীয় টুপি মাথায় দিয়ে কোরআন থেকে কয়েকটি আয়াত পাঠ করেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান। প্রায় ৯০ বছর পর নামাজ আদায় হলো গির্জা হিসেবে প্রতিষ্ঠা হওয়া ১৪৮৩ বছরের পুরনো এই স্থাপনায়।

তুরস্ক সরকার জানিয়েছে, জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় থাকা ঐতিহাসিক ভবন নিয়ে সরকারের দায়িত্ব, অধিকার ও ক্ষমতা সম্পর্কে তারা সচেতন। প্রেসিডেন্ট এরদোগানও শনিবার টুইট করে বলেছেন, তুরস্কের সভ্যতার যে আবার সূর্যোদয় হচ্ছে, আয়া সোফিয়া তারই প্রমাণ। তার আশা বিশ্বের শেষদিন পর্যন্ত এর অন্দরে মুসলিমদের প্রার্থনা অনুরণিত হবে।

সংবাদ সূত্রঃ রয়টার্স