রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেবে মিয়ানমার, তবে…

জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরতে পারবে, তবে এ প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনায় বসতে হবে বলে জানিয়েছেন মিয়ানমারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা থাউং তুন।

জাতিসংঘের ৭২তম অধিবেশনের সাইডলাইনে বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে বৈঠক শেষে রয়টার্সকে এ কথা বলেন থাউং তুন। এসময় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের রাখাইনে ফিরিয়ে নিতে আলোচনায় বসার উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। এছাড়া কোন বৈষম্য ছাড়াই রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দিতে একমত হন তারা।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সঙ্গে সেনাবাহিনীর বহুদিন ধরে চলমান সংঘর্ষ-সহিংসতা সঙ্কট সমাধানে ২০১৬ সালের আগস্টে গঠিত হয়। অ্যাডভাইজরি কমিশন অন রাখাইন স্টেট। জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বে ওই কমিশন এক বছরের তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের প্রধান অং সান সু চির কাছে জমা দেয় চলতি বছরের ২৪ আগস্ট।

৩ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদন জমা দেয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই ২৪ আগস্ট দিবাগত রাতে ত্রিশটি পুলিশ ও সেনাচৌকিতে রহস্যজনক হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় নিহত হয় নিরাপত্তা বাহিনীর ১২ সদস্য। তারপরই হামলার জন্য রোহিঙ্গা ‘জঙ্গি’দের দায়ী করে জবাব হিসেবে সেনাবাহিনী পুরো অঞ্চলে হত্যাযজ্ঞ শুরু করে।

সেনাবাহিনীর ওই হামলায় এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫শ মানুষ মারা গেছে, আর প্রাণভয়ে লাখ লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে পাড়ি জমাচ্ছে বাংলাদেশে। নৌপথে পালিয়ে আসার পথে নৌকাডুবিতেও বাড়ছে মৃতের সংখ্যা।

আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, আনান কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়ন না করার উদ্দেশ্যেই মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এই হত্যাকাণ্ড শুরু করে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৮ ঘণ্টা, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসডিএম