নতুন বছরে সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়তে অব্যাহতভাবে কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলব। ইনশাল্লাহ দেশকে সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হব। আর সে লক্ষ্যে নিয়েই সরকার কাজ করে যাচ্ছে।’
রোববার গণভবনে দলীয় ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রবাসী বাঙালি ও দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘নতুন বছরের নতুন সূর্য মানুষের জীবনকে সুন্দর করুক, উদ্ভাসিত করুক, সফল করুক-সেটাই আমি কামনা করি।’
দেশ আরও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাবে আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে, সে অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। বিশ্ব দরবারে বাঙালি জাতি সম্মানের সঙ্গে চলবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পুরাতন বছরকে পেছনে ফেলে আমরা নতুন বছরে পদার্পন করছি। সমগ্র বাঙালি জাতিকে এ নববর্ষে আমি শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। শুভ নববর্ষ।’
নতুন বছর বাঙালি জাতির জন্য নতুন বার্তা বয়ে আনুক, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন করব, আমরা আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করব।’
প্রধানমন্ত্রী এ সময় গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করায় দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীসহ সমগ্র দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে আওয়ামী লীগ এবং আমাদের সহযোগী সংগঠনের সব নেতাকর্মীকে আমি বিশেষভাবে শুভেচ্ছা জানাই, শুভেচ্ছা জানাই গত নির্বাচনে যারা আওয়ামী লীগকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে জাতির সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন তাদেরকেও।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতার নেতৃত্বে আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছি। আজকে আমাদের লক্ষ্য জাতির পিতার আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে সারা বিশ্বে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলা। আমরা তা করতে পারব।’
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানস্থলে আসার পর পর কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এসো এসো হে বৈশাখ, আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে, আলো আমার আলো এবং সলিল চৌধুরীর ধিতাং ধিতাং বোলেসহ বেশ কয়েকটি গান সমবেত কণ্ঠে পরিবেশন করা হয়।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় ও মহানগরসহ বিভিন্ন ইউনিট প্রধানমন্ত্রীকে ফুলের তোড়া দিয়ে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানায়।
পরে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান এবং সবার জন্য শুভ কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
গণভবনে আসা অতিথিদের মুড়ি, মুড়কি, মিষ্টান্নসহ বিভিন্ন ধরনের বাঙালি ঐতিহ্যের খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।