টিকাটুলির রাজধানী সুপার মার্কেটে ছিল না আগুন নেভানোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা

রাজধানীর টিকাটুলির রাজধানী সুপার মার্কেটের আগুন লাগে মার্কেটের দ্বিতীয় তলার একটি কাপড়ের দোকান থেকে। মুহূর্তের মধ্যে অন্য দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। ছিল না মার্কেটে আগুন নিয়ন্ত্রণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। সৌভাগ্যক্রমে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

আজ বুধবার সন্ধ্যা পাঁচটার দিকে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।

আগুন লাগার খবর পেয়ে উৎসুক মার্কেটের দুই পাশে ভিড় করেন। এ সময় পুরো এলাকা নিয়ন্ত্রণে নেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব), পুলিশ, আনসার বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য।

প্রত্যক্ষদর্শী ও মার্কেটের একটি দোকানের মালিক রাজীব হোসেন বলেন, মার্কেটের দ্বিতীয় তলার একটা কাপড়ের দোকান থেকে সন্ধ্যা ৫ টা ৫ মিনিটে আগুন লাগে। ওই আগুন মুহূর্তের মধ্যে অন্য দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। তখনই তাঁরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও কয়েক মিনিটের ব্যবধানে চলে আসেন।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের ভাষ্য, সন্ধ্যা ৫টা ১৪ মিনিটে আগুন লাগার খবর পান। আট মিনিটের মধ্যেই তাঁরা ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছান। ফায়ার সার্ভিসের ২৫ টি ইউনিট প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে আগুন নেভাতে সক্ষম হন।

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, মার্কেটে আগুন নিয়ন্ত্রণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল না। এটি কোনো পরিকল্পিত শপিং মল নয়। ছোট খাটো টিন শেডের দোকান।

সন্ধ্যা ৭টার পর রাজধানীর সুপার মার্কেট পরিদর্শন শেষে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভানোর কাজে নেমে পড়েন। খুব দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।

আগুন লাগার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগুন নিভে গেছে। কেন আগুন লেগেছে তা বলা যাবে তদন্ত হওয়ার পর। এই মার্কেটে কয়েকশ দোকান আছে। এর মধ্যে ১৪ থেকে ১৫ টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তবে শাহজাদা নামের এক ব্যক্তি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, আগুনে রাজধানী সুপার মার্কেটের বহু দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এর মধ্যে তাঁর ভাইয়েরও একটা দোকান রয়েছে।
:প্রথম আলো

Scroll to Top