ক্ষমতায় বসলে সবকিছু জায়েজ মনে হয়, চুরিরও বিচার হয় না: কর্নেল অলি আহমদ

ক্ষমতার লোভ এবং অহংকার পৃথিবীকে গ্রাস করেছে। ক্ষমতায় বসলে সবকিছু জায়েজ মনে হয়। অন্যকে মানুষ মনে হয় না। মানুষকে মর্যাদা দিতে চায় না। করোনার মতো মহামারীর পরেও থেমে নেই ক্ষমতাসীনদের চাল চুরি, রিলিফের মাল চুরি, টাকা চুরির ঘটনা। প্রতিদিন পত্রিকার কাগজে শিরোনাম হচ্ছে এই চুরির খবর। অথচ কোথাও কোন বিচার নেই বলে জানিয়েছেন, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ও জাতীয় মুক্তিমঞ্চের আহ্বায়ক ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম।

আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

কর্নেল অলি বলেন, দেশে অদ্ভুত সরকার, যাদের কাছে মানুষের কোনও মূল্য নেই। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এবং হতাহতের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অথচ সরকার পদক্ষেপ না নিয়ে লকডাউন শিথিল করেছে। এ মুহূর্তে লকডাউন আরো কঠোর করার প্রয়োজন ছিলো। গত ২-৩ দিন যেভাবে লকডাউন অমান্য করা হয়েছে তাতে বড় ধরণের ক্ষতির সম্মুখিন হতে হবে। সরকার কার্যকর কোনও পদক্ষেপ না নিয়ে শুধু যুক্তিতর্ক এবং টেলিভিশনের বক্তব্যের মধ্যে নিজেদের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রেখেছে।

তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস কয়েকশত বছরের মধ্যে একটি বহুল আলোচিত দুঃস্বপ্ন এবং আতঙ্ক। সমগ্র পৃথিবীর মানুষকে ঘরে ঢুকিয়ে দিয়েছে। সবকিছু একাকার করে দিয়েছে। কারণ আমরা অমানুষ হয়ে গেছি। আল্লাহর শাসন মানতে আমাদের অনীহা।যত্রতত্র মদ্যপান, বেহায়াপনা, সুদ, ঘুষ, মুনাফাখোরি, অবিচার, অনাচার, অত্যাচার, উলঙ্গতা, ক্ষমতার লোভ এবং অহংকার পৃথিবীকে গ্রাস করেছে।

কর্নেল অলি আরও বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে যদি কেউ নয়-ছয় করে, তাদেরকে জেলে পাঠানো হবে। চোররা দলীয় লোক হওয়ার কারণে কাউকে জেলে পাঠানো হচ্ছে না। এতে করে জনমনে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের ব্যাপারে সরকারকে আরো কঠোর এবং যত্নশীল হতে হবে। মনে রাখতে হবে, কোন অবস্থাতেই যেন অসহায় হতদরিদ্র এবং নিম্নমধ্যবিত্ত আয়ের লোকেরা বাদ না পড়ে।

Scroll to Top