নিউজিল্যান্ডের ২ মসজিদে হামলাকারীর প্যারোলবিহীন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

গত বছর নিউজিল্যান্ডের দুটি মসজিদে হামলা করে ৫১ জনকে হত্যায় অভিযুক্ত ব্রেন্টন টারান্টকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের একটি আদালত। নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে এই ধরনের ঘটনা সচরাচর ঘটে খুব কম এটি দেশটির ইতিহাসে খুব জঘন্যতম একটি ঘটনা। সাজাপ্রাপ্ত ব্রেন্টন টারান্টের প্যারোলে মুক্তি পাওয়ারও কোনো সুযোগ থাকবে না। এতে করে এই প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডে প্যারোল ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি দেওয়া হলো।

দণ্ডাদেশ দেওয়ার সময় বিচারক মন্তব্য করেন যে, ব্রেন্টন টারান্ট পরিকল্পিতভাবে দুটি মসজিদে হামলা করেন এবং তিনি তার কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত নন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ব্রেন্টন টারান্টের বিচারের শুনানি চারদিন ধরে চলেছে এবং এই সময়ে ৬০ জনের বেশি ভুক্তভোগীর বিবৃতি শুনেছেন আদালত। বিবৃতির শেষদিনে আদালতে কোরআন পাঠ করা হয় এবং ভুক্তভোগীদের মারা যাওয়া পরিবারের সদস্যদের ছবি দেখানো হয়।

জানা গোছে, আজ বৃহস্পতিবার সাজা শোনানোর আগে বন্দুকধারী ব্রেন্টন টারান্ট আদালতে কথা বলেননি। ধুসর রঙের পোশাক এবং তিনজন পুলিশ কর্মকর্তার বেষ্টনীতে ব্রেন্টন টারান্ট পুরো সময় চুপচাপ ছিলেন।

তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ভিডিও ফিডের মাধ্যমে শহরের অন্যান্য আদালত কক্ষে হাজার হাজার মানুষকে আদালতের কার্যক্রম দেখানো হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বার্নাবি হাওয়েজ আদালতকে বলেছেন, ওই হামলার জন্য বন্দুকধারী বহু বছর ধরে পরিকল্পনা করছিল। তার উদ্দেশ্যে ছিল যত বেশি সম্ভব মানুষকে হতাহত করা।

গত বছর নিউজিল্যান্ডের দুটি মসজিদে হামলা করে ৫১ জনকে হত্যা করে ব্রেন্টন টারান্ট। বন্দুক নিয়ে গুলি করার দৃশ্য তিনি সরাসরি অনলাইনে সম্প্রচার করেন।

ওইদিন ব্রেন্টনের হামলা থেকে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সদস্যরা। নিউজিল্যান্ডে সফররত ক্রিকেট দলের বেশ কজন সদস্য সেদিন হামলার শিকার হওয়া একটি মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন।

Scroll to Top