বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ১০ দিনব্যাপী বিশেষ কর্মসূচি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে আগামী ১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত ১০ দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হচ্ছে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে আয়োজিত এসব অনুষ্ঠানে দেশি-বিদেশি অতিথিবৃন্দ অংশগ্রহণ করবেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী শুক্রবার বিকালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি, সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম এমপি, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন, তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন এবং জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির কার্যালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, ২০২১ সালের ১৭ মার্চ ২০২১ তারিখে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী এবং ২৬ মার্চ ২০২১ তারিখে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যে ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা আয়োজনের সকল প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানমালায় প্রতিদিন পৃথক থিমভিত্তিক আলোচনা অনুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, অডিও ভিজুয়াল এবং অন্যান্য বিশেষ পরিবেশনার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। ১০ দিনের অনুষ্ঠানমালার থিমগুলো হলো- ১৭ মার্চ ২০২১ তারিখে ‘ভেঙেছ দুয়ার এসেছো জ্যোতির্ময়’, ১৮ মার্চ ২০২১ তারিখে ‘মহাকালের তর্জনী’, ১৯ মার্চ ২০২১ তারিখে ‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা’, ২০ মার্চ ২০২১ তারিখে ‘তারুণ্যের আলোকশিখা’, ২১ মার্চ ২০২১ তারিখে ‘ধ্বংসস্তূপে জীবনের গান’, ২২ মার্চ ২০২১ তারিখে ‘বাংলার মাটি আমার মাটি’, ২৩ মার্চ ২০২১ তারিখে ‘নারীমুক্তি, সাম্য ও স্বাধীনতা’, ২৪ মার্চ ২০২১ তারিখে ‘শান্তি-মুক্তি ও মানবতার অগ্রদূত’, ২৫ মার্চ ২০২১ তারিখে ‘গণহত্যার কালরাত্রি ও আলোকের অভিযাত্রা’ এবং ২৬ মার্চ ২০২১ তারিখে ‘স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর ও অগ্রগতির সুবর্ণরেখা’।

১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় ১৭ মার্চ, ২২ মার্চ এবং ২৬ মার্চ ২০২১ তারিখের অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং ১৭ মার্চ, ১৯ মার্চ, ২২ মার্চ, ২৪ মার্চ এবং ২৬ মার্চ ২০২১ তারিখের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন। এই পাঁচ দিনের অনুষ্ঠানে বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান এবং সরকার প্রধানরা অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

আগামী ১৭ মার্চ ২০২১ তারিখের অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ, ১৯ মার্চ ২০২১ তারিখের অনুষ্ঠানে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে, ২২ মার্চ ২০২১ তারিখের অনুষ্ঠানে নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারী, ২৪ মার্চ ২০২১ তারিখের অনুষ্ঠানে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং এবং ২৬ মার্চ ২০২১ তারিখের অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উপস্থিত থাকবেন। এই পাঁচ দিনের অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সীমিত আকারে ৫০০ জন আমন্ত্রিত অতিথি উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া, এই পাঁচ দিনের অনুষ্ঠানসহ অন্য পাঁচ দিনের অনুষ্ঠানমালায় বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধান, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের ধারণকৃত বক্তব্য প্রদর্শন করা হবে। প্রত্যেক দিনের অনুষ্ঠান টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

আগামী ১৭ মার্চ ২০২১ তারিখের অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করবেন চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, ১৮ মার্চ ২০২১ তারিখের অনুষ্ঠানে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন, ২০ মার্চ ২০২১ তারিখের অনুষ্ঠানে ওআইসি’র সেক্রেটারি জেনারেল ড. ইউসেফ আহমেদ আল-ওথাইমিন, ২২ মার্চ ২০২১ তারিখের অনুষ্ঠানে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইউশিহিদে সুগা, ২৪ মার্চ ২০২১ তারিখের অনুষ্ঠানে পোপ ফ্রান্সিস, ২৫ মার্চ ২০২১ তারিখের অনুষ্ঠানে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী চুং স্যু-কুয়েন এবং বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু জাপানের তাকাশি হাওয়াকাওয়ার পুত্র ওসামু হাওয়াকাওয়া।

অনুষ্ঠানের সময় সম্পর্কে ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, ১৭ মার্চ, ১৯ মার্চ, ২২ মার্চ, ২৪ মার্চ এবং ২৬ মার্চ ২০২১ তারিখের অনুষ্ঠান বিকাল ০৪:৩০টায় শুরু হবে এবং রাত ০৮:০০টায় শেষ হবে। অন্যান্য দিনের অনুষ্ঠান বিকাল ০৫:১৬টায় শুরু হবে এবং রাত ০৮:০০টায় শেষ হবে। প্রতিদিনের অনুষ্ঠানে সন্ধ্যা ০৬:০০টা থেকে ০৬:৩০টা পর্যন্ত ৩০ মিনিটের বিরতি থাকবে।