যৌনাংগের জেনিটাল হার্পিস কি, কেন সতর্কতা জরুরি?

জেনিটাল হার্পিস বা যৌনাংগের হার্পিস (Genital herpes) হলো যৌন সংক্রামক একটি রোগ। এই রোগ হার্পিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস টাইপ-১ (HSV-1) ও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সিমপ্লেক্স ভাইরাস টাইপ-২ (HSV-2) সংক্রমণের ফলে হয়।

অধিকাংশ ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তি জানতেই পারে না যে, তিনি HSV-2 বা HSV-1- এ আক্রান্ত। অনেকটা নিরব ঘাতকের মতো এটি।

সংক্রমণ: যৌনাংগে HSV-2 বা HSV-1’র সংক্রমণ থাকা ব্যক্তির সঙ্গে সঙ্গম করলে এইরোগ সংক্রমণ হতে পারে। এক্ষেত্রে বাইরের থেকে উক্ত ব্যক্তির হার্পিস আছে এমন ধারণা করা সম্ভব হয় না ও আক্রান্ত ব্যক্তিও তার রোগ সম্পর্কে নাও জানতে পারেন।

লক্ষণ ও উপসর্গ: বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তি জানতেই পারেন না যে, তিনি হার্পিস সিমপ্লেক্স ভাইরাসে আক্রান্ত। সাধারণত এই ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হওয়ার দুই সপ্তাহ পর শরীরের বাইরে প্রকাশ ঘটে।
এর ঘাঁগুলো দুই থেকে চার সপ্তাহর ভেতর শরীরে ফুটে ওঠে। ঘাঁগুলো সাধারণত যৌনাংগ বা মলদ্বারের কাছে একটা বা একাধিক গুটির মতো দেখা দেয়।

প্রথমে গুটি দেখা দেয়। পরে এইগুলো ফেটে গিয়ে স্পর্শকাঁতর ঘাঁ হয়ে যায়। এই ঘাঁগুলো ঠিক হতে ২ থেকে চার সপ্তাহ সময় লাগে।

এর কয়েক সপ্তাহ কয়েক মাস পর গুটিগুলো পুনরায় দেখা দেয়। অবশ্য পরেরবার ঘাঁগুলো আগের বারের চেয়ে কম ভয়াবহ হয় ও সময় মতো শুকায়। এই সংক্রমণ শরীরে অনির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত থাকতে পারে।
অবশ্য এক বছরের ভেতর এই ঘাঁর পরিমাণ ধীরে ধীরে কমতে আরম্ভ করে। এর অন্যান্য উপসর্গগুলো হলো- ফ্লুর মতো জ্বর, গ্রন্থি ফুলে ওঠা ইত্যাদি।

চিকিৎসা: হার্পিস নিরাময়ের কোনো চিকিৎসা নেই। কিন্তু, ঔষধ খেয়ে ঘাঁগুলো প্রতিরোধ করা ও কমিয়ে রাখার চিকিৎসা করা যায়। সংক্রমণ হওয়া থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়।

প্রতিরোধ: যেকোনো যৌন সংক্রমণ প্রতিরোধের উচিত উপায় হলো যৌন সম্পর্ক না করা অথবা যৌন সংক্রামক রোগ না থাকা একজন ব্যক্তিকে যৌন সঙ্গী করে নেওয়া। সূত্র: এমসিডিসি

বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, ২২ অক্টোবর, ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/পিকে

Scroll to Top