রেজা-নুরের গণঅধিকার পরিষদ ইসি থেকে চূড়ান্ত নিবন্ধনের অপেক্ষায়

কয়েক দফা যাচাই-বাছাই শেষে নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে নিবন্ধন পাওয়ার দৌড়ে ১২টি রাজনৈতিক দল টিকে আছে। এ দলগুলোর মধ্যে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ও রেজা কিবরিয়ার নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদও রয়েছে। দলটির চূড়ান্ত নিবন্ধন পাওয়া নিয়ে জল্পনা-কল্পনা থাকলেও গণঅধিকার পরিষদ নিবন্ধনের সকল শর্ত পূরণ করেছে এবং নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য বলে দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ দাবি করেছেন। বুধবার (১০ মে) এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি করেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইন অনুযায়ী নিবন্ধন পেতে হলে তিনটি শর্তের মধ্যে অন্তত একটি পূরণ করতে হবে। আর সেটি ভালোভাবেই পূরণ করেছি আমরা। নির্বাচন কমিশনের শর্ত অনুযায়ী গণঅধিকার পরিষদ ২৪টি জেলা কমিটির তালিকা ও কার্যালয়ের বিস্তারিত তথ্য জমা দেয়। আর উপজেলা কমিটি জমা দেয় ১০৩টি। প্রতিটি উপজেলা কার্যালয়ের ভাড়ার চুক্তিপত্র ও ২০০ সমর্থকের তালিকাও জমা দেওয়া হয়েছে।

আবু হানিফ আরও বলেন, জেলায় জেলায় গণঅধিকার পরিষদ যেসব তথ্য দিয়েছে তা শতভাগ সঠিক। এমনকি যেসব অফিসের ঠিকানা দেওয়া হয়েছে বাস্তবে তার শতভাগ অস্তিত্বও রয়েছে। ইতোমধ্যে ২৪টি জেলা কার্যালয় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে পরিদর্শন করা হয়েছে। এছাড়া এই সময়ের মধ্যে গণঅধিকার পরিষদের জেলা কমিটি ঘোষণা হয় ৫৩টি, মহানগর ২টি আর উপজেলা কমিটি ২৫০টিরও বেশি।

দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক দেশের একটি শীর্ষ স্থানীয় পত্রিকাকে বলেন, গণঅধিকার পরিষদ নির্বাচন কমিশনের শর্ত পূরণ করেছে। আমরা আশা করছি নিবন্ধন পাব। তারপরও যদি নিবন্ধন না দেয়, তাহলে আমরা আইনের আশ্রয় নেব, পাশাপাশি রাজপথেও কর্মসূচি থাকবে।

এ বিষয়ে গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর ওই পত্রিকাকে বলেন, নির্বাচন কমিশন যদি নিরপেক্ষভাবে যাচাই-বাছাই করে এবং স্বাধীনভাবে তারা কাজ করতে পারে তাহলে গণঅধিকার পরিষদ অবশ্যই নিবন্ধন পাবে। আমরা যেহেতু সরকারের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার, সেক্ষেত্রে সরকার যদি নির্বাচন কমিশনের প্রতি চাপ তৈরি করে তাহলে আমাদের নিবন্ধন বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এছাড়া গণঅধিকার পরিষদের নিবন্ধন না পাওয়ার কোনো কারণ নেই।

এদিকে নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, যাচাই-বাছাই শেষে ১২টি দলকে প্রাথমিকভাবে নিবন্ধনের অপেক্ষায় রাখা হয়েছে। বর্তমানে মাঠ পর্যায়ে তাদের তথ্য যাচাই-বাছাই ও তদন্ত চলছে। এ মাসেই মাঠ পর্যায়ের তদন্ত রিপোর্টের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শেষে উত্তীর্ণ দলগুলোকে কমিশনের আগামী সভায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে। আর জুন মাসের মধ্যেই নতুন দলের নিবন্ধন ও গেজেট প্রকাশ করা হতে পারে।