\’ভারপ্রাপ্ত\’ হয়েই বেপরোয়া শাহানাজ বেগম!

২০১৫ সালের জুলাই মাসের ১৪ তারিখে অবসর নেন দিনাজপুর নবাবগঞ্জ উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম। অবসর গ্রহণের পর ভারপ্রাপ্ত উপজেলা আনসার ভিডিপি অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পান ওই উপজেলার প্রশিক্ষিকা মোছা. শাহানাজ বেগম। দায়িত্ব গ্রহণের পর নানা অপকর্মে লিপ্ত হন তিনি। বানিয়েছেন ভুয়া ইউনিয়ন আনসার কমান্ডার ও সহকারি কমান্ডার। ইউপি, উপজেলা, সংসদ নির্বাচনে আনসার বাহিনীতে লোক নিয়োগের নামে এবং তাদের প্রশিক্ষণের নামে টাকা আত্মসাৎ করেন।

এমন অভিযোগে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোছা. শাহানাজ বেগমের নামে ওই উপজেলার ৩২ জন আনসার সদস্য সরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মহাপরিচালক আনসার ও ভিডিপি, জেলা কমান্ডার, দুদকসহ বেশ কয়েকটি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

এই ঘটনায় সহকারি জেলা কমান্ডিং অফিসার মো.ইবনুল হক গত জুলাই মাসে ঘটনার তদন্তে এসে ছিলেন। সেই তদন্তের রিপোর্ট এখনো পাওয়া যায়নি। তবে তদন্ত কর্মকর্তার দাবি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে ওই অভিযোগের রিপোর্ট দেওয়া হবে।

লিখিত অভিযোগে অনসার সদস্য বলেন, ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হয়। সেই সময় উপজেলার আনসারগণের নিকট থেকে জেলা কমান্ডারের নাম ভাঙিয়ে ৫০০ থেকে একহাজার টাকা জন প্রতি ঘুষ আদায় করেন। এ ছাড়াও জেলায় কেউ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে যেতে চাইলে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা আদায় করেন।

এ ছাড়াও উপজেলা গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নের আনসার কমান্ডারের কোনো কাগজ ছাড়া ইউনিয়ন আনসার কমান্ডার ও সহযোগী আনসার কমান্ডার নিয়োগ করেন। এমনকি তাদের ভিডিপি প্রশিক্ষণের কোনো সনদ নেই বলে অভিযোগ তাদের।

ভুয়া সনদে নিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নের আনসার কমান্ডার আজাহার আলী কালের কণ্ঠকে বলেন, ১৯৯৩ সালে আব্দুল হাকিমসহ আমি ঢাকায় প্রশিক্ষণ নিয়ে সনদ অর্জন করি। আমার সেই সনদ যাচাইয়ের জন্য জেলা সহকারী কমান্ডিং অফিসার ইবনুল হক এসে নিয়ে গিয়েছে। আমার নামে করা অভিযোগ মিথ্যা।

উপজেলা আনসার ভিডিপি\’র (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা মোছা. শাহানাজ বেগম মুঠোফোনে কালের কণ্ঠকে বলেন, অভিযোগকারীদের মধ্যে দুইজন আমার কাছে উপজেলা গোলাপগঞ্জ ইউনিয়ন কমান্ডার ও সহকারী কমান্ডার নিয়োগ চেয়েছিল। নিয়মের বাহিরে তাদের নিয়োগ না দেওয়ায় তারা ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের কাছে এমন অভিযোগ করেছেন। উক্ত ঘটনার সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।

দিনাজপুর জেলা কমান্ডিং অফিসার মো.ইবনুল হক বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করেছি। আগামী সপ্তাহের মধ্যে এই বিষয়টি নিয়ে সুস্পষ্ট মতামত দেওয়া হবে।