যৌন সামগ্রী কেনা-বেচা নিষিদ্ধ হলেও অনলাইনে তা বিক্রি হচ্ছে ধুমধামে

বাংলাদেশে যৌন সামগ্রী কেনা-বেচা নিষিদ্ধ হলেও অনলাইনে তা ধুমধামে বিক্রি হচ্ছে। ইউটিউবের বিজ্ঞাপন কিংবা ফেসবুক থেকে যে কেউ এসব সামগ্রী কিনতে পারছে। গবেষকরা বলেন, সহজলভ্য হওয়ায় এর ব্যবহার বেড়ে ঘটছে দুর্ঘটনাও। অথচ যারা এসব দেখভালের দায়িত্বে তারা নিশ্চুপ।

সম্প্রতি রাজধানীতে ঘটে যাওয়া ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় যৌন সামগ্রী ব্যবহারের আলামত পায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নির্যাতিতার দেহে ফরেন বডির আলামত মিলে যা বিকৃত যৌনাচার। এরপরই আলোচনায় আসে এসব সামগ্রীর সহজলভ্যতার বিষয়টি।

ফেসবুকে বিভিন্ন নামে পেইজ খুলে যৌন সামগ্রীর পসরা সাজিয়ে বসেছে অসাধুচক্র। ইউটিউবেও আছে এমন নানা ভিডিও ও বিজ্ঞাপন। সেখানে দেয়া মোবাইল নম্বরে কিংবা ম্যাসেঞ্জারে অর্ডার করলেই নির্দিষ্ট ঠিকানায় পণ্য পৌঁছে দেওয়া হয়।

এরকম একটি ফেসবুক পেইজ থেকে মোবাইল নম্বর নিয়ে যোগাযোগ করা হলে, তারা জানায় এই ব্যবসা করতে তাদের কোনও বাধার সম্মুখীন হতে হয়নি। অথচ দেশে এসব পণ্য কেনাবেচার অনুমতি নেই।

এই বিষয় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালমা আলী বলেন, এই ধরনের পণ্য অবাধে বাংলাদেশে সব জায়গায় বিক্রি হচ্ছে। এগুলো কিভাবে বিক্রি হচ্ছে আর কোন পদ্ধতিতে মনিটর করা হচ্ছে, তা নিয়ে কিন্তু আমরা মাঝে মাঝে চিন্তা করি।

সমাজ ও অপরাধ বিশ্লেষক তৌহিদুল হক বলেন, এই ব্যবসাগুলো যারা করছে তাদের বিরুদ্ধে কেন এখনও আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এই উপকরণ বিক্রি করতে গিয়ে তাদের অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে। তবে এসব দেখভালের দায়িত্ব যাদের তাদের সাথে যোগসাজশ ছাড়া এই ব্যবসা চালানো সম্ভব নয়।

একই বিষয় নিয়ে সাইবার ক্রাইম ইউনিটের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এমনকি নিষিদ্ধ এসব পণ্য নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব কার তা নিয়ে খোদ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্তাদেরই সংশয় রয়েছে।