ধামরাইয়ে গৃহবধূর ৪ স্বামী, শয়নকক্ষে মামা-ভাগ্নে

ঢাকার ধামরাইয়ে এক গৃহবধূর দাবিদার ৪ স্বামী। এ ঘটনায় বিপাকে পড়েছেন বাড়ির মালিক। কোন স্বামীকে ওই বাড়িতে স্থান দেয়া হবে এ নিয়ে ভাবতে ভাবতে যখন অস্থির ঠিক তখন ওই গৃহবধূর শয়নকক্ষ থেকে জনতার হাতে একসঙ্গে আটক হয়েছে আপন মামা-ভাগ্নে।

বৃহস্পতিবার ভোররাতে তাদের আটক করা হয়েছে। ধামরাই উপজেলার সুতিপাড়া ইউনিয়নের শ্রীরামপুর মাঝিপাড়া আবদুর রহিমের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী আটকের পর স্থানীয় ইউপি মেম্বারের নির্দেশে গ্রাম পুলিশ দিয়ে মামা-ভাগ্নেসহ ওই গৃহবধূকে আটক করে রাখা হয়েছে।

সরেজমিনে গেলে এলাকাবাসী ও বাড়ির মালিক আবদুর রহিমের স্ত্রী জানান, প্রতিবেশী কৃষ্ণ, পবণ ও বাবুল রাজবংশীদের ভাগ্নি ও শ্রীরামপুর গ্রাফিক্স টেক্সটাইল মিলের স্যুইং অপারেটর ময়না রাজবংশীর প্রথমে বিয়ে হয় সাভারের আশুলিয়া থানার ধামসোনা ইউনিয়নের কণ্ডা গ্রামের গবিন্দ রাজবংশীর ছেলে লালচাঁন রাজবংশীর সঙ্গে। শিখা ও শোভা রাজবংশী নামে দুই কন্যাসন্তানের জন্ম হয় তাদের ঘরে।

এরপর শ্রীরামপুর গ্রামের ননী গোপাল ঘোষের ছেলে নরেশ চন্দ্র ঘোষকে পরকীয়ার ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে প্রথম স্বামীর অজান্তেই। এক স্বামীর অজান্তে আরেক স্বামীর সঙ্গে গোপন অভিসারে মিলিত হয় গৃহবধূ ময়না রাজবংশী।

এর রেশ না কাটতেই সাভারের নিত্যনন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা খোকন সরকারের ছেলে ইলেকট্রিক মিস্ত্রি কমল সরকারকে নোটারি পাবলিকে অ্যাফিডেভিটের মাধ্যমে তৃতীয় স্বামী হিসেবে বিয়ে করে।

৪ সেপ্টেম্বর এ বিয়ে সম্পাদন করেন ধামরাই পৌর শহরের পুরোহিত আরাধন ঠাকুর। এলাকাবাসী গোপনে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ভোররাত ৪টার দিকে ওই গৃহবধূর শোয়ার ঘর থেকে মামা কমল চন্দ্র সরকার ও ভাগ্নে দীপক চন্দ্র সরকারকে আটক করে।

তারা দু’জন সোমবার থেকে ওই গৃহবধূর সঙ্গে একই কক্ষে বসবাস করছে। এখন ওই গৃহবধূকে চারজনই স্ত্রী হিসেবে দাবি করায় বাড়ির মালিক আবদুর রহিম মহাবিপাকে পড়েছেন। এ ঘটনার পর বাড়িঘর ছেড়ে আত্মগোপনে রয়েছেন বাড়ির মালিক আবদুর রহিম।

বাংলাদেশ সময় : ১৭০১ ঘণ্টা, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭,
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এ