বিয়ের প্রলোভনে ৫ মাস ধরে ধর্ষণ

শাড়ি তৈরির একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের কোয়ালিটি ইন্সপেক্টরকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পাঁচ মাস ধরে ধর্ষণ করে আসছেন তার প্রেমিক। সর্বশেষ গত মাসে তাকে রাজধানীর একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। কিন্তু বিয়ে করবে না বলে সাফ জানিয়ে দিলে তিনি বাধ্য হয়ে থানায় মামলা করেন।

ভুক্তভোগী তরুণী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর দারুস সালাম থানায় মামলা করেন। মামলা নম্বর ৬। মামলায় একমাত্র আসামি করা হয়েছে তরুণীর প্রেমিক মোহাম্মদ সেন্টু আহম্মেদকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দারুস সালাম থানার এসআই মহেশ চন্দ্র সিংহ।

মামলার এজাহারে উল্লেখ্য করা হয়, বাদী শাড়ি তৈরির সংশ্লিষ্ট কোম্পানির প্রিন্ট সেকশনে কর্মরত। তার সঙ্গে আসামি মোহাম্মদ সেন্টু আহম্মেদের এক বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। এরপর থেকে মোবাইলে তাদের মধ্যে নিয়মিত কথা হতো। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। প্রেমের কারণে তারা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতেন। এ সুযোগে সেন্টু তাকে আবাসিক হোটেলসহ বিভিন্ন নির্জন স্থানে নিয়ে যেতেন।

শিগগির তাকে বিয়ে করবেন এমন প্রলোভন দেখিয়ে ওইসব স্থানে সেন্টু তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করতেন। এভাবে পাঁচ মাস ধরে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়।

মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, সর্বশেষ ১১ আগস্ট ওই তরুণীকে নিয়ে সেন্টু রাজধানীর গাবতলীর চৌধুরী হোটেলের ৭ নম্বর কক্ষে ওঠেন। পরে সেখানেও তাকে ধর্ষণ করে। পরে সেন্টুকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সেন্টু আহম্মেদ কালক্ষেপণ শুরু করে। এক পর্যায়ে সে সাফ জানিয়ে দেয়, তাকে আর বিয়ে করবে না। বরং বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। এরপর বাধ্য হয়ে ভুক্তভোগী তরুণী থানা পুলিশের সহযোগিতা চান এবং বাদী হয়ে দারুস সালাম থানায় এজাহার দায়ের করেন।

জানা গেছে, মামলার আসামি মোহাম্মদ সেন্টু মিয়ার (২৭) বাবার নাম ইউনুছ আলী। গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের সিংগাইর থানার বলধারা গ্রামে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দারুস সালাম থানার এসআই এসএম এলিশ মাহমুদ বলেন, ‘মামলাটির ব্যাপারে তদন্ত চলছে। আসামি ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৯ ঘণ্টা, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/পিকে