মজাদার সব খাবার হোম ডেলিভারি করবে ইভ্যালি ফুড এক্সপ্রেস

রাজধানীর বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের মজাদার সব খাবার হোম ডেলিভারি করবে ইভ্যালি ফুড এক্সপ্রেস শপ। ‘ই-ফুড’ নামের এই সেবার মাধ্যমে সিক্রেট রেসিপি, তর্কা, শেফস টেবিল এর প্রায় ৩৫টিরও বেশি প্রিমিয়াম রেস্টুরেন্টসহ ৭০টিরও বেশি রেস্টুরেন্টের খাবার পাওয়া যাবে বাড়িতেই। আর এই সবকিছুই হবে সর্বনিম্ন ৩০ মিনিট থেকে সর্বোচ্চ এক ঘণ্টার মধ্যে।

মঙ্গলবার (১৬ জুন) আনুষ্ঠানিকভাবে ই-ফুড সেবার চালু করে ইভ্যালি। প্রাথমিকভাবে রাজধানীর উত্তরা, গুলশান এবং ধানমণ্ডি এলাকার গ্রাহকেরাই পাবেন ই-ফুড এর এই সেবা। তবে আগামী এক সপ্তাহের মাঝে পুরো ঢাকা শহরকেই এই সেবার আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানায় দেশের অন্যতম শীর্ষ অনলাইন ভিত্তিক মার্কেটপ্লেস ইভ্যালি ডট কম ডট বিডি।

সেবাটি চালু করার লক্ষ্যে সম্প্রতি সিক্রেট রেসিপি, শেফস টেবিল, তর্কার মতো স্বনামধন্য এবং জনপ্রিয় রেস্টুরেন্টগুলোর সাথে পৃথক পৃথকভাবে এক সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) স্বাক্ষর করে ইভ্যালি। ইভ্যালির সাথে এই সমঝোতা চুক্তিপত্রে সিক্রেট রেসিপি’র পক্ষে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠানটির ফ্রাঞ্চাইজি প্রতিষ্ঠান পিপেরনি লিমিটেডের হেড অব বিজনেস কে এস এম মোহিত উল বারি। এসময় ফেয়ার গ্রুপের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা জে এম তসলিম কবীর উপস্থিত ছিলেন।

শেফস টেবিলের পক্ষে এর মালিকানা প্রতিষ্ঠান ইউনিমার্ট গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মর্তুজা জামান চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন। এসময় ইউনিমার্টের মহাব্যবস্থাপক শরফুদ্দিন রশিদ আক্তার উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে তর্কার স্বত্বাধিকারী আশফাক রহমান আসিফ প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।

প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে ইভ্যালির পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেল চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন। এসময় ইভ্যালির হেড অব বিজনেস সিরাজুল ইসলাম রানা এবং ই-ফুড বিভাগের প্রধান মুশতাহিদুল ইসলাম বাধন উপস্থিত ছিলেন।

ই-ফুড সম্পর্কে মোহাম্মদ রাসেল বলেন, কঠিন এই পরিস্থিতিতে গ্রাহকদের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সেবাকে আকর্ষণীয় করে তাদের কাছে পৌঁছে দিতে বিভিন্ন রকম সার্ভিস নিয়ে কাজ করছে ইভ্যালি। তারই একটি অংশ এই এক্সপ্রেস ফুড শপ বা ই-ফুড। আমরা চাই নগরবাসী যেন ঘরে থেকেই রেস্টুরেন্টের খাবারের স্বাদ উপভোগ করতে পারেন। এর জন্য প্রয়োজনীয় সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাতের স্পর্শহীন খাবার তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অর্ডার করলে খাবার এবং রেস্টুরেন্ট থেকে গ্রাহকের অবস্থান অনুযায়ী সর্বনিম্ন ৩০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টার মধ্যে ফুড ডেলিভারি করা হবে। নির্ধারিত পরিমাণে ফুড অর্ডার করলে শর্ত সাপেক্ষে ডেলিভারি চার্জ সম্পূর্ণ ফ্রি। বিভিন্ন সময় ইভ্যালি থেকে পাওয়া ক্যাশব্যাক ব্যালেন্স দিয়েও ফুড অর্ডার করা যাবে। আর বিকাশে নতুন পেমেন্ট করলে ২০ শতাংশ হারে ক্যাশব্যাক দেবে ইভ্যালি।