দিন দিন ‘বিষাক্ত ও অস্বাস্থ্যকর’ হচ্ছে রাজধানীর বায়ু

সাধারণত বিশুদ্ধ বায়ু বলতে বুঝায় যে বায়ুতে ধোঁয়া, ধূলিকণা, রোগজীবাণু, কোনো প্রকার দূষিত গ্যাস বা অন্য কোনো ক্ষতিকর পদার্থ থাকে না তাই হচ্ছে বিশুদ্ধ বায়ু। তবে বায়ুর মান ‘শূন্য থেকে ৫০ পিএম২.৫’ মধ্যে থাকলে তাকে বিশুদ্ধ বায়ু বলা হয়। কিন্তু ঢাকার বায়ুর মান রেকর্ড হয়েছে ২৩৫ পিএম২.৫ যা মানবশরীরের জন্য খুবই মারাত্মক বিষাক্ত। বিশ্বে সর্বোচ্চ বিষাক্ত বায়ুর শহর হিসেবে ঢাকা সপ্তম স্থানে রয়েছে। প্রতিনিয়ত নিঃশ্বাসের মাধ্যমে এই বায়ু গ্রহণ করে ঢাকা শহরের বাসিন্দারা চরম অস্বাস্থ্যকর ও ঝুঁকিপূর্ণ জীবনযাপন করছেন।

দ্য ওয়ার্ল্ড এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স প্রজেক্ট (একিউআইসিএন) আজ সোমবার সকাল এ তথ্য প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে দেখা যায়, এপ্রিলের প্রথম ৮ দিনের গড় বায়ুদূষণের তথ্য প্রকাশ করেছে। এতে ৬ দিন বায়ুর মান ছিল অস্বাস্থ্যকর (১৫০ থেকে ২০০ পিএম২.৫) এবং দুই দিন ছিল খুবই অস্বাস্থ্যকর (২০১ থেকে ৩০০ পিএম২.৫)।

একিউআইসিএন বলছে, সকাল ৯টায় ঢাকার বায়ুর মান ১২৭ পিএম২.৫, যা অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ের। অর্থাৎ ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে উন্নতি হয়েছে ১ ঘণ্টার ব্যবধানে।

লকডাউনে অতি দূষিত ঢাকার বায়ুর মান বেশ ভালো হয়ে যায়। পাশাপাশি দেশের অন্যান্য অঞ্চলের বায়ুর মানেও উন্নতি ঘটে। তবে লকডাউন উঠে যাওয়ায় আবারও দূষিত হতে শুরু করে দেশের বায়ু। সংক্রমণ বাড়ায় চলাচলে নানা বিধিনিষেধ দিয়েছে সরকার। কিন্তু এতে শিল্প-কলকারখানা বন্ধ হয়নি। এছাড়াও যানবাহনের কালো ধোঁয়ায় বায়ুর মানে তেমন উন্নতি হয়নি।