সংসার সামলে ৩৯তম বিসিএসে প্রথম হলেন প্রধানমন্ত্রীর স্বর্ণপদক পাওয়া নীলিমা

৩৯তম বিশেষ বিসিএসের (স্বাস্থ্য) চূড়ান্ত ফলাফলে প্রথম হয়েছেন ডা. নীলিমা ইয়াসমিন। এর আগে তিনি প্রধানমন্ত্রীর স্বর্ণপদক লাভ করেন। এছাড়াও তিনি চিকিৎসকদের চূড়ান্ত পেশাগত পরীক্ষায় (২০১৬ সালে) প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন। ৩৯তম বিশেষ বিসিএস পরীক্ষায় তার রোল নং ছিল ১০০২০৬।

মঙ্গলবার বিকাল তিনটায় ৩৯তম বিশেষ বিসিএসের (স্বাস্থ্য) চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি)। প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে প্রথম হয়েছেন ডা. নীলিমা ইয়াসমিন।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। ৩৯তম বিসিএসে প্রথম হওয়ার অনুভূতি বর্ণনা করতে গিয়ে ডা. নীলিমা ইয়াসমিন, এই মুহূর্তে আমার মিশ্র অনুভূতি। কারণ, আমি এর আগে ৩৮তম বিসিএসেও প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলাম। ওটার জন্যও অপেক্ষো করছিলাম। যখন এফসিপিএসের জন্য ট্রাই করছিলাম, তখন আমি গর্ভবতী ছিলাম। দুইটি পরীক্ষাই তখন পাশাপাশি ছিলো। আলহামদুলিল্লাহ, দুটিতেই উত্তীর্ণ হয়েছি। তারপর যখন ৩৯তম বিসিএসের যখন বিজ্ঞপ্তি দিলো, তখন দেখলাম যে আমার ৩৮তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার তিনদিন আগেই হলো ৩৯তম বিসিএস পরীক্ষা। এর মধ্যে ট্রেনিং করা, পড়াশুনা, ছোট বাচ্চা, সব মিলিয়ে আমার অবস্থা খুবই খারাপ ছিলো। ৩৯তম বিসিএসের জন্য যে খুব বেশি প্রস্তুতি নিয়েছি তা নয়, ৩৮ তম’র জন্যই প্রস্তুতি নিয়েছি। তার মধ্যেই আমি ৩৯তম বিসিএসে প্রথম হয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ।
\"\"

তিনি আরও বলেন, যখন ৩৯তম বিসিএসের পরীক্ষা দিয়ে বের হলাম, তখন মিলিয়ে দেখলাম যে ১৬৪/১৬৫ নাম্বার কনফার্ম। তখন বুঝতে পারলাম যে, ৩৯ তম তো হবেই। তখন ৩৮ তমের বিষয়টা খুব সিরিয়াসলি নিয়েছি। এখন আপাতত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রেসিডেন্ট ডাক্তার হিসাবে আছি। ৩৯ তম তে তো প্রথম হলাম, দেখা যাক সামনে কি হয়। সবাই দোয়া করবেন।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন নীলিমা ইয়াসমিন। তিনি চিকিৎসকদের চূড়ান্ত পেশাগত পরীক্ষা প্রফে (২০১৬ সালে) প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন।

প্রসঙ্গত, ৩৯তম বিশেষ বিসিএসের (স্বাস্থ্য) চূড়ান্ত ফলাফলে প্রায় ৪ হাজার ৭৯২ জন চিকিৎসক নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। সভার পরই ৩৯ তম বিশেষ বিসিএস পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।