‘পারলে এই ছোট বোনটাকে সবাই ক্ষমা করে দিয়েন’

মাত্র দুদিন আগেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানীকে উদ্দেশ্য করে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে বিতর্কের ঝড় তুলেছিলেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাবেক কার্যকরী সদস্য জারিন দিয়া।

সেখানে জারিন লিখেছিলেন- রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং গোলাম রব্বানী ভাই আপনাদের মধু ভর্তি মেয়ে লাগে। বড় বড় প্রোগ্রামে মেয়েদের মুখ না দেখলে তো আপনাদের মন ভরতো না। শোভন ভাই আপনি একদিন আমাকে সবার সামনে বলছিলেন কি রে চেহারা সুন্দর আছে; তো সেজেগুজে আসতে পারো না!

আমি সেজেগুজে আসতে পারি নাই দেখে আমাকে কমিটি তে রাখলেন না??

আপনারা যেসব মেয়েদের কমিটিতে রেখেছেন তারা কয়দিন থেকে রাজনীতি করে! আপা কি জানেন?? আর নিজে বিবাহিত বলে কমিটিতে দুনিয়ার বিবাহিত মেয়েদের রেখেছেন!!!

আর গোলাম রাব্বানি ভাই আমাকে সবার সামনে বলছিলেন দুইদিনের মেয়ে কেমনে পোস্ট পাইছো বুঝি নাই! কয়জনের বেডে গেছো NSI রিপোর্ট করলেই জানা যাবে। মনে আছে গোলাম রাব্বানী ভাই ?????? আমি তখন আপনার যোগ্য কথার জবাব দিয়েছিলাম। আজ তার শোধ নিলেন?????

অনেক তথ্য অপেক্ষা করছে আপনাদের জন্যে ।
এই বিবাহিত বিতর্কিত কমিটি মানি না ; মানবো ন…
আমার শ্রমের মূল্য দিতে হবে আপনাদের।

এবার নিজেই সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে ফেসবুকে আরেকটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন জারিন। যেখানে লিখেছেন-

ভালোবাসার সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে হয়তো অনেক বেশিই ভালবেসে ফেলেছি। আমি খুব সাধারণ একজন কর্মী। কারোর সাথে কোন শত্রুতা ছিল না কোন দিন। একটা স্ট্যাটাস এর মাধ্যমে হয়তো আজ অনেক আলোচনা সমালোচনার মুখোমুখি পড়েছি। পদ থেকে বঞ্চিত হয়েছি বলেই স্ট্যাটাসটা দেই নাই। আসলে জমে থাকা কষ্টগুলো ভিতরে আর রাখতে পারিনি। সত্যি অনেক পরিশ্রম করেছিলাম। মাকে ধরে যখন কেঁদেছি মার চোখের পানিটাও তখন সহ্য হচ্ছিল না। তাই ক্ষোভ থেকে যদি আপনাদের কষ্ট দিয়ে থাকি পারলে এই ছোট বোনটাকে ক্ষমা করে দিয়েন সবাই। আজ হসপিটালের বেডে অসহ্য শারীরিক (কোমরের পাঁজরে আঘাত) ও মানসিকভাবে আঘাতে দিন কাটাতে হচ্ছে। হয়তো মৃত্যুটা ঘনিয়ে আসছে।