শ্বাসনালি পুড়ে যাওয়ায় আবু হেনা রনি শঙ্কামুক্ত নন

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে দগ্ধ কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনির শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। বর্তমানে তার চিকিৎসা চলছে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে।

তিনি শঙ্কামুক্ত নন বলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন জানিয়েছেন। আজ শনিবার সকালে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, আবু হেনা রনির শ্বাসনালি ও এক কান পুড়ে গেছে। তাকে আইসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

আবু হেনা রনি শঙ্কামুক্ত নন জানিয়ে তিনি বলেন, তাকে সুস্থ করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। তবে এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়। রনির বিষয়ে চিকিৎসক বলেন, ‘কলকাতা থেকেও আমরা অনেক ফোন পাচ্ছি। ’ চিকিৎসক আরো বলেন, ‘আমরা আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলেছি। তার শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। আমাদের আরো অপেক্ষা করতে হবে। ’

এ ছাড়া আবু হেনা রনির সঙ্গে দগ্ধ জিল্লুর রহমান (৩২) নামে আরেক যুবককেও আইসিইউতে রাখা হয়েছে। তার শরীরের ১৯ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে, তারও শ্বাসনালি পুড়ে গেছে।

ডিএমপির সহকারী কমিশনার (ডিবি ও মিডিয়া) আবু সায়েম নয়ন বলেন, মঞ্চের পূর্ব পাশেই ওড়ানোর জন্য কিছু গ্যাস বেলুন রাখা ছিল। প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বেশ কয়েকবার চেষ্টা করার পরও সেগুলো ওড়াতে ব্যর্থ হন। কোনো ত্রুটির কারণে হয়তো বেলুনগুলো তিনি ওড়াতে পারেননি। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্য অতিথিরা অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চের দিকে চলে যান।

এরপর বেলুনগুলো নিয়ে যাওয়া হয় উদ্বোধন মঞ্চের পেছনে। কিছুক্ষণ পরই বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। উদ্বোধন মঞ্চের পেছনে সবগুলো বেলুনই বিস্ফোরিত হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে রয়েছে। আহতরা নিচে লুটিয়ে পড়েন। সহকর্মীরা দ্রুত আহতদের গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পাঠান।

গাজীপুর মেট্রেপিলিটন পুলিশের (জিএমপি) চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জিএমপি কমিশনারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে গাজীপুর জেলা পুলিশ লাইনস মাঠে একটি অনুষ্ঠানে এ দুর্ঘটনায় আবু হেনা রনি ছাড়াও আরো চারজন দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে রনিসহ তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। রনি ও জিল্লুর ছাড়া চিকিৎসাধীন অপরজনের নাম মোশাররফ হোসেন।