সংগীতশিল্পী সাদী মহম্মদের মৃত্যু নিয়ে রহস্য

রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সন্ধ্যায় তার ঘর ভেতর থেকে দরজা বন্ধ ছিল। ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে দেখা যায় তার মরদেহ ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে।

গতকাল বুধবার (১৩ মার্চ) রাতে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে জানিয়েছেন স্বজন ও নিকটজনরা। এদিন রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যায়। তার মৃত্যুর সংবাদটি নিশ্চিত করেছেন নৃত্যশিল্পী শামীম আরা নীপা।

মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু। বর্তমানে এ শিল্পীর মরদেহ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে আছে।

সাদী মহাম্মদ রবীন্দ্রসঙ্গীতের ওপরে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ২০০৭ সালে আমাকে খুঁজে পাবে ভোরের শিশিরে অ্যালবামের মাধ্যমে তিনি সুরকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। এ ছাড়া ২০০৯ সালে তার শ্রাবণ আকাশে ও ২০১২ সালে তার সার্থক জনম আমার অ্যালবাম প্রকাশিত হয়। এছাড়াও তিনি সাংস্কৃতিক সংগঠন রবিরাগের পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

স্বজনরা জানান, আজও অন্যদিনের মতো তিনি সংগীত চর্চা করেছেন। সন্ধ্যার পর হঠাৎ তার ঘরের দরজা বন্ধ দেখা যায়। পরে রাতে দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

১৯৭১ সালে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি হত্যা করে তার বাবা সলিমউল্লাহকে। তার বাবার নামে ঢাকার মোহাম্মদপুরের সলিমউল্লাহ রোডের নামকরণ করা হয়। সাদী মহম্মদের ভাই শিবলী মোহাম্মদ বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য নৃত্যশিল্পী। ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি রবীন্দ্র পুরস্কার প্রদান করে এই কিংবদন্তি রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পীকে।