বড়দিন কীভাবে এলো?

যিশুখ্রিস্টের জন্মদিন উপলক্ষে প্রতি বছর ডিসেম্বরের ২৫ তারিখে বিশ্বব্যাপী পালন করা হয় বড়দিন। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব এটি।

ডিসেম্বর মাসের ২২ তারিখে রাত সবচেয়ে দীর্ঘ ও দিনের সময় সবচেয়ে কম। একে মকরক্রান্তি বলে। যিশুখ্রিস্টের আবির্ভাবের কয়েক শতাব্দী আগে থেকেই মকরক্রান্তির রাতে আলো ও জন্ম উদযাপন করতেন ইউরোপীয়রা।

জানা যায়, ষোড়শ শতাব্দীতে পর্তুগিজ ব্যবসায়ী ও ধর্মপ্রচারকদের মাধ্যমে খ্রিস্টান ধর্ম বাংলাদেশে আসে। তখন বাংলাদেশের প্রায় অধিকাংশ মানুষ খ্রিস্টান। তবে বাঙালিদের কাছে এই দিনটির পরিচয় বড়দিন হিসেবে।

একজন বিশেষজ্ঞের মতে, মর্যাদার দিক থেকে এটি একটি বড়দিন।

যিশু যেহেতু বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য ধর্ম ও দর্শন দিয়ে গেছেন, বিশ্বব্যাপী বিশাল অংশের মানুষ তার দেয়া ধর্ম ও দর্শনের অনুসারী। যিনি এতো বড় ধর্ম ও দর্শন দিলেন ২৫ ডিসেম্বর তার জন্মদিন। সে কারণেই এটিকে বড়দিন হিসেবে বিবেচনা করে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ।

বাঙালি যারা খ্রিস্টান তাদের অধিকাংশই এই ধর্মে রূপান্তরিত হয়েছেন। তারা ভাবেন যিশু এমন একজন যিনি তাকে ধর্ম দিয়েছেন। তাই তার জন্মদিনটাই তারা সব আবেগ দিয়ে পালন করেন। এ কারণেই দিনটি তাদের কাছে বড়দিন হিসেবে বিবেচিত।

তার মতে বাঙালি সমাজে ১৮ শতকের শেষের দিকে এই বড়দিন পালনের চর্চা শুরু হয়েছিল। একই সময়ে এই অঞ্চলের মানুষ ইউরোপীয়দের অনুকরণে জন্মদিন পালনও শুরু করে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বড়দিনের প্রধান আকর্ষণের অন্যতম হলো লাল সাদা পোশাক আর সাদা চুল দাড়ির সান্টা ক্লজ। এই রাতেই বল্গা হরিণে টানা স্লেজে চেপে পুরো দুনিয়া চষে বেড়ান। ঝুলিতে থাকে উপহার। সব শিশুর হাতে সেই উপহার দিয়ে যান সান্টা ক্লজ।

বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন পালন করা হলেও ব্যতিক্রম রাশিয়া, জর্জিয়া, মিশর, আর্মেনিয়া। জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে ৭ জানুয়ারি এসব দেশে বড়দিন পালন করা হয়। প্রায় ২০০০ বছর আগে পৃথিবীর মানুষকে মুক্তি ও কল্যাণের পথ দেখিয়েছিলেন যিশু। বড়দিনে তাই খ্রিসমাস ক্যারল, মোমবাতি, উপহারে তাকেই স্মরণ করে খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা।

Scroll to Top