মাইক্রোসফটের সাপোর্ট বন্ধ হলে অকেজো হবে ২৪ কোটি পিসি

উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমের জন্য সবধরনের সাপোর্ট দেয়া বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাইক্রোসফট। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রায় ২৪ কোটি পার্সোনাল কম্পিউটারকে ভাগাড়ে পাঠাতে হবে বলে উঠে এসেছে গবেষণায়। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান ক্যানালিস রিসার্চের এ গবেষণা অনুসারে, এসব পিসি থেকে উৎপন্ন ইলেকট্রনিক বর্জ্যের আনুমানিক ওজন ৪৮ কোটি কেজি, যা ৩ লাখ ২০ হাজার গাড়ির সমান। অনেক পিসিতে অপারেটিং সিস্টেমটির সমর্থন বন্ধ করার পর বেশ কয়েক বছর কার্যকারিতা ধরে রাখার সক্ষমতা থাকলেও ক্যানালিস সতর্কবার্তা দিয়েছে, সিকিউরিটি আপডেট না আসার কারণে ওইসব কম্পিউটারের চাহিদা কমে যেতে পারে।

তবে সম্প্রতি মাইক্রোসফট এক পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছে, যার মাধ্যমে ২০২৮ সালের অক্টোবর পর্যন্ত বার্ষিক ফির বিনিময়ে উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমের ডিভাইসগুলোয় সিকিউরিটি আপডেট দেওয়া হবে। ক্যানালিস বলছে, উইন্ডোজ ১০-এর জন্য মাইক্রোসফটের এ প্যাকেজের মূল্য অতীতের মতো হলে নতুন পিসিতে সেটি স্থানান্তর করা ব্যবহারকারীর জন্য লাভজনক হতে পারে। তবে অনেক বেশি সংখ্যক পুরোনো পিসি ফেলে দিতে হতে পারে। এর ফলে বেড়ে যাবে ইলেকট্রনিক বর্জ্য। ক্যানালিস বলছে, ইলেকট্রনিক বর্জ্য কমানোর জন্য বেশি স্থায়িত্বের, মেরামতযোগ্য এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য ডিভাইস ও সফটওয়্যার তৈরির ওপর জোর দেয়া দরকার।

২০২৫ সালের অক্টোবর নাগাদ উইন্ডোজ ১০ সমর্থন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট মাইক্রোসফট। পিসির জন্য পরবর্তী প্রজন্মের অপারেটিং সিস্টেমে যুক্ত হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি। এতে মন্দার মুখে পড়া পিসি বাজারে বিক্রি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।

এদিকে উইন্ডোজ ১১-এর সঙ্গে বেমানান ডিভাইসগুলো ভাগাড়ে পাঠালে তা পরিবেশের ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলবে, সে বিষয়ে রয়টার্সকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি মাইক্রোসফট।