সৌদি নারীদের জন্য নিষিদ্ধ যে ৭ কাজ

সৌদি আরবে নারীদের চলাচল থেকে শুরু করে পোশাক, ব্যবসা, চাকরি কিংবা ভ্রমণের মতো বিভিন্ন বিষয়ে আইন অনুযায়ী বিশেষ কিছু নির্দেশনা রয়েছে।

সাম্প্রতি দেশটির নারীদের গাড়ি চালানোর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হলেও একই ধরণের আরও ৭টি কাজে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে তাদের বাবা, স্বামী, পুরুষ আত্মীয়ের অনুমতিতে বা বিশেষ ক্ষেত্রে ছেলের অনুমতি নিয়ে এর বেশিরভাগ কাজ করতে পারেন তারা।

সংবাদ মাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী সৌদি নারীদের জন্য নিষিদ্ধ কাজগুলো হচ্ছে-

পুরুষের সঙ্গে অবাধ বিচরণ: সৌদি নারীরা পুরুষের সঙ্গে অবাধে ওঠাবসা করতে পারেন না। তবে এক্ষেত্রে কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতাল, ব্যাংক, মেডিকেল কলেজ অন্যতম।

২০১৩ সালে দেশটির শপিংমলে পার্টিশান দিয়ে নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রাখা এবং নারী-পুরুষ দুই ধরনের কর্মচারী নিয়োগ করার নির্দেশ দেয়া হয়।

পুরো শরীর না ঢেকে জনসমক্ষে যাওয়া: সৌদি নারীদের পূর্ণ শরীর না ঢেকে জনসমক্ষে যাওয়া সম্পূর্ণ নিষেধ। এক্ষেত্রে ওই নারীকে অবশ্যই পূর্ণ শরীর আবৃত করা কালো রঙের পোশাক \’আবায়া\’ পরতে হবে। খুব ঢিলেঢালা আবায়া, যাতে শরীরের কাঠামো বোঝা না যায় এবং ভদ্রতা বজায় থাকে।

ব্যবসা করা: সৌদি নারীরা ব্যবসায় করতে চাইলে তাকে অবশ্যই পুরুষের সাহায্য নিতে হয়। কেনোনা কোনো নারীকে ব্যবসায়িক লাইসেন্স বা ঋণ পেতে দুইজন পুরুষের সুপারিশ জোগাড় করতে হয়। দুইজন পুরুষের সুপারিশ ছাড়া কোনো নারী ব্যবসায়িক লাইসেন্স বা ঋণ পান না।

সন্তানকে হেফাজতে রাখা: সৌদি আরবে কোনো পরিবারে তালাক হলে নির্দিষ্ট সময় পর তালাকপ্রাপ্ত নারী তার সন্তানকে নিজের কাছে রাখতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে ছেলেদের জন্য ৬ বছর ও মেয়েদের জন্য ৯ বছর বয়স পর্যন্ত নারী তার সন্তানকে নিজের কাছে রাখতে পারবেন।

ন্যাশনাল আইডি ও পাসপোর্ট আবেদন: দেশটির নারীরা ইচ্ছা করলেই জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারেন না। এই দুটির জন্য আবেদন করতে হলে অবশ্যই পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি নিতে হয়।

রেস্টুরেন্টে খাবার খাওয়া: নারীরা চাইলেই যেকোনো রেস্টুরেন্টে গিয়ে খেতে পারেন না। যেসব রেস্টুরেন্টে নারীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে শুধুমাত্র সেখানেই খেতে পারবেন নারীরা। তবে দেশটির বেশিরভাগ রেস্টুরেন্টেই নারীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে। ওইসব রেস্টুরেন্টে নারীদের প্রবেশ পথ ও আলাদা দরজা থাকাও বাধ্যতামূলক।

আদালতে সাক্ষ্য: কোনো একজন নারী আদালতে সাক্ষ্য দিতে পারেন না। তবে দেশটির আদালতে দুইজন নারীর সাক্ষ্যকে একজন পুরুষের সাক্ষ্য হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়। কোনো নারীর একক সাক্ষ্য দেয়ার সুযোগ নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/পিকে

Scroll to Top