ধর্মীয় উগ্রবাদ প্রতিরোধে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, কোনো ধর্মই সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদকে সমর্থন করে না। উগ্রবাদ অসহিঞ্চুতার জন্ম দেয়। সামাজিক শৃঙ্খলা বাধাগ্রস্ত করে। তাই ধর্মীয় উগ্রবাদ প্রতিরোধে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে।

শনিবার শারদীয় দুর্গোৎসব ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে বঙ্গভবনে এক অনুষ্ঠানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি। এসময় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এতে রাষ্ট্রপতির স্ত্রী রাশিদা খানমও উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাঙালির চিরকালীন ঐতিহ্য। সম্মিলিতভাবে এ ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিতে হবে আমাদের সামগ্রিক অগ্রযাত্রায়। শারদীয় দুর্গোৎসবে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার মধ্যে সম্প্রীতি ও সৌহার্দের বন্ধন হোক আরো সুসংহত, বিশ্ব মানবতার জয় হোক- এ কামনা করি।

বিজয়া দশমীতে হিন্দু সম্প্রদায়কে অভিনন্দন জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, দুর্গাপূজা বাঙালি হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। সমাজে অন্যায়, অবিচার, অশুভ ও অসুর শক্তি দমনের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আবহমানকাল ধরে এ দেশের হিন্দু সম্প্রদায় বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপন করে আসছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, দুর্গাপূজার সাথে মিশে আছে আবহমান বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। ধর্মীয় উৎসবের পাশাপাশি দেশের জনগণের মাঝে পারস্পরিক সহমর্মিতা ও ঐক্য সৃষ্টিতে দুর্গাপূজা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার পাশাপাশি মানবতার সেবায় এগিয়ে এসে দুস্থ ও অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে বলেন রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির নেতারাও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

অন্যদের মধ্যে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। পরে আমন্ত্রিত অতিথিদের বঙ্গভবনের দরবার হলে আপ্যায়ন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, ৩০ সেপ্টেম্বর  ২০১৭

লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/কেএসপি