সম্পূর্ণ রূপে প্রস্তুত বসুন্ধরা করোনা হাসপাতাল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চাইলেই হস্তান্তর

মহামারী করোনা পরিস্থিতিতে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) অস্থায়ীভাবে নির্মিত বসুন্ধরা করোনা হাসপাতাল সম্পূর্ণ রূপে প্রস্তুত। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চাইলেই এটি হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

আজ সোমবার আইসিসিবি প্রাঙ্গণে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এম এম জসীম উদ্দিন এ কথা জানান।

তিনি বলেন, আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কিছু কাজ হয়তো বাকি আছে। কিন্তু সেটাও সময়ের ব্যাপার মাত্র। এখন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একটি তারিখ নির্ধারণ করে দিলেই আমরা হাসপাতাল হস্তান্তর করতে পারবো। যেটুকু কাজ বাকি আছে, তা ওই বিশেষ তারিখের জন্যই, কারণ সেগুলো হস্তান্তরের আগে আগেই করতে হবে।

জসীম উদ্দিন বলেন, দেশের সর্ববৃহৎ হাসপাতাল নির্মিত হচ্ছে, তাদের (স্বাস্থ্য অধিদপ্তর) জন্য। তারা তো একটা পূর্ব পরিকল্পনা করে সব কিছু বুঝে নেবে, কিন্তু তাদের মাঝে সেই আগ্রহ কেন যেন আমরা বিগত কিছুদিন যাবৎ দেখছি না। তারা বলছেন তাদের চিকিৎসক-নার্সের স্বল্পতা আছে। কিন্তু এটা তো আপৎকালীন হাসপাতাল, জরুরি অবস্থা মোকাবিলার জন্য। এসময় তো প্রয়োজনে কম সংখ্যক চিকিৎসক-নার্স নিয়েও শুরু করা যায়। বিভিন্ন জায়গা থেকে চিকিৎসক-নার্সদের এখানে নিয়েও আসা যায়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আগ্রহ না দেখালে হাসপাতালটির কার্যক্রম শুরু হতে আরও বিলম্ব হওয়ার আশংকা প্রকাশ করে এ কর্মকর্তা বলেন, একটি ড্রয়িং ম্যাপ অনুমোদন নিয়ে আমরা বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি, যেমন- বেড, টেবিল, ওয়ার্ক স্টেশন এগুলো বসিয়েছি এখানে। কিন্তু ড্রয়িং ম্যাপ এবং বাস্তব অভিজ্ঞতা ভিন্ন। কোনো একটা যন্ত্রপাতি বা আসবাবপত্র বাস্তবে কীভাবে বসালে চিকিৎসক-নার্সদের সুবিধা হবে, এটা কিন্তু তারা এই কদিনে দেখে যেতে পারতো।

বেডগুলো ঠিকভাবে বসানো হয়েছে কি না, বা বেডগুলোর মধ্যে কতটুকু ফাঁকা রাখা দরকার, সে বিষয়গুলো ঠিক আছে কি না তারা দেখতে পারতো। এখন যদি হস্তান্তরের পর তাদের কোনো কিছু পছন্দ না হয়, তাহলে এটিকে পুনর্বিন্যাস করে চালু করতে আরও সময় লেগে যাবে। হাসপাতালটিতো জরুরি ভিত্তিতে দরকার। আমরা চাচ্ছি দ্রুত হস্তান্তর করে দিতে।

এদিকে এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (ঢাকা সিটি বিভাগ) মো. মাসুদুল আলম বলেন, আমাদের ২ হাজার বেড লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে ১ হাজার ৭০০ বেড বসে গিয়েছে। বাকিগুলো আজকের মধ্যেই হবে। বৃষ্টির কারণে কিছু কাজ পিছিয়েছে, তবে সেগুলো হাসপাতালের মূল কাঠামোর বাইরের কিছু কাজ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চাইলে একটা তারিখ নির্ধারণ করে বুঝে নিতে পারে।