আবহাওয়াঃ ৩৭ ডিগ্রি ছুঁলো তাপমাত্রা, গরম কমবে আগামী সপ্তাহে

চট্টগ্রাম পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে মৌসুমি বায়ু বর্ষা। দেশের মধ্যভাগ হয়ে পূর্বাঞ্চলের আকাশ ছেয়ে যাবে আগামী সপ্তাহে। ফলে বাড়বে বৃষ্টিপাত, কমবে গরম।

বর্ষা দেশের মধ্যভাগের দিকে এগিয়ে আসায় তাপপ্রবাহের বিস্তৃতি কমে আসলেও মাত্রা কিছুটা বেড়েছে। তাপমাত্রা গত কয়েকদিনের চেয়ে বেড়ে বুধবার (১০ জুন) দাঁড়িয়েছে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে দিনাজপুরসহ উত্তরবঙ্গে গরম বেশি অনুভূত হলেও দেশের অন্যত্র কিছুটা স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপটি বর্তমানে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরো ঘণীভূত হতে পারে। বর্তমানে পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

অন্যদিকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু তথা বর্ষা চট্টগ্রাম অঞ্চল পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু আরও অগ্রসর হওয়ার জন্য আবহাওয়াগত অবস্থা অনুকূলে রয়েছে। শুক্রবার নাগাদ দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু দেশের পূর্বাংশে অগ্রসর হতে পারে। আর আগামী মঙ্গলবার নাগাদ দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু সমগ্র বাংলাদেশে বিস্তার লাভ করতে পারে। ফলে বেড়ে যাবে বৃষ্টিপাত।

বৃহস্পতিবার (১১ জুন) সন্ধ্যা পর্যন্ত দেওয়া এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে- চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; ঢাকা, ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

এসময় সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। রাজশাহী, দিনাজপুর, নীলফামারী এবং পঞ্চগড় অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে যে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং সেটাও অব্যাহত থাকতে পারে।

বুধবার দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে, ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে টাঙ্গাইলে, ৩৯ মিলিমিটার।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানির উচ্চতা হ্রাস পাচ্ছে।

আবহাওয়াবিদ মো. রুহুল কুদ্দুস জানান, মৌসুমি বায়ু চট্টগ্রাম পর্যন্ত এসেছে। এটি বিস্তৃত হচ্ছে। দেশের আকাশে ছড়িয়ে পড়লেই বৃষ্টিপাত বেড়ে যাবে।