করোনাভাইরাসের কারণে শঙ্কিত জার্মান প্রবাসী বাংলাদেশিরা

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ইউরোপ থেকে যাত্রী প্রবেশে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। আর এ নিষেধাজ্ঞার কারণে বাংলাদেশে না যেতে পেরে ভোগান্তিতে পড়েছেন অনেক জার্মান প্রবাসী বাংলাদেশি। এতে অনেকেই টিকিট কেটে তা আবার ফেরত দিতে বাধ্য হচ্ছেন। এছাড়া ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে দেশটির ট্রাভেল এজেন্সিগুলোও।

সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লকডাউনের মধ্যেও জার্মানিতে বেড়েই চলেছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এমন পরিস্থিতিতে শঙ্কিত দেশটির স্থানীয় বাসিন্দাসহ প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তবে ইউরোপে দীর্ঘদিনের লকডাউনের ধকল কাটাতে পরিবারের সঙ্গে পহেলা বৈশাখ উদযাপন কিংবা ঈদ উদযাপন করতে অনেকেরই পরিকল্পনা ছিল বাংলাদেশে যাওয়ার। কিন্তু জার্মানিসহ কয়েকটি দেশ থেকে বাংলাদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপে বিপাকে জার্মান প্রবাসীরাও।

এতে এক প্রবাসী জানান, প্রতি রোজার ঈদ বাংলাদেশে (বাড়ি) গিয়ে করি। এবার আর তা হলো না। এরই মধ্যে আমার এক আত্মীয় মারা গেছেন জানতে পেরেছি কিন্তু যেতে পারলাম না খুবই খারাপ লাগছে। দেশটির ট্রাভেল এজেন্সিগুলো আমাদের দেশে যাওয়ার টিকিটের টাকা ফেরত দিয়েছে। তারাও ক্ষতির মুখে পড়েছে।

এদিকে, জার্মানিতেও অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলে করোনার নানা বিধিনিষেধে লোকসানের কবলে ট্রাভেল এজেন্সিগুলো।জার্মানিতে ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ব্রাজিলের করোনার নতুন ধরনের সংক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল ১৬টি অঙ্গরাজ্যের মিনিস্টার প্রেসিডেন্টদের সঙ্গে দফায় দফার বৈঠক করছেন। ইতোমধ্যে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গণপরিবহনে এফএফপি ২ মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আর সে সঙ্গে টিকা প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে জার্মান প্রশাসন।