বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেবে ইউরোপের চার দেশ

বাংলাদেশ থেকে পৃথক খাতে দক্ষ কর্মী আগ্রহ দেখিয়েছে ইতালি, জার্মানি, গ্রিস ও রোমানিয়া। এছাড়াও বাংলাদেশ সুযোগ পাবে জাহাজ নির্মাণ, বস্ত্র ও তৈরি পোশাক, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি, নির্মাণ খাত, পর্যটন ও কৃষি খাতে দক্ষ কর্মী পাঠানোর।

দক্ষ কর্মী পাঠানোর সামর্থ্য অর্জনের লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশকে ৩০ লাখ ইউরোর আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) চারটি দেশ তাদের ছয়টি খাতে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

বৈধ পথে ইউরোপে অভিবাসনে সহায়তার জন্য ২০২২ সালের এপ্রিলে ট্যালেন্ট পার্টনারশিপ প্রোগ্রাম ঘোষণা করে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। যেখানে বলা হয়, ২৭ দেশের এই জোট দক্ষ কর্মী নেবে মোট ৭টি দেশ থেকে। তালিকায় আছে বাংলাদেশও। মূলত ইউরোপের বাইরের অংশীদার দেশগুলোর নাগরিকদের দক্ষতা অর্জন ও কাজের সুযোগ দিতে এই কর্মসূচি নিয়েছে ইইউ।

এই প্রকল্পের কেন্দ্রীয় ব্যবস্থার অধীনে তৈরি করা ডাটাবেজের উপর ভিত্তি করে সাত দেশকে চাহিদাপত্র দেবে ইইউ সদরদপ্তর। এই কর্মসূচিতে যারা কাজে যাবেন মেয়াদ শেষে ফিরতে হবে দেশে। অগ্রাধিকার পাবে তথ্যপ্রযুক্তি, কেয়ারগিভিং, নির্মাণশিল্প, ট্যুরিজম ও হসপিটালিটি, কৃষি ও কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত, জাহাজ নির্মাণ ও তৈরি পোশাকশিল্প।

বাংলাদেশ কিভাবে এই সুযোগের সর্বোচ্চটা কাজ লাগাতে পারে তা নিয়ে কাজ শুরু করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি হওয়া আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে তৈরি করা হয়েছে রোড ম্যাপও। যার জন্য মিলবে ৩ মিলিয়ন ইউরো।

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ২২ জুনের মধ্যে আমরা রোডম্যাপ ফাইনাল করবো এবং ইমপ্লিমেন্টেশনে যাব। এটা এক ধরণের পাইলট প্রকল্প। সুতরাং অন্যান্য যে ইউরোপিয়ান দেশগুলো আছে তারাও কিন্তু আগ্রহী হবে। ওয়েলডিংয়ের খুব ডিমান্ড রয়েছে।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ট্যালেন্টহান্ট প্রকল্পের মাধ্যমে যেতে আগ্রহী শ্রমিকদের দেয়া হবে ভাষা ও সংস্কৃতির প্রাথমিক ধারণা। এটার মডেলটি যদি দাঁড়িয়ে যায় তখন জাপানেও যেমন প্রচুর ডিমান্ড আছে একই ধরণের। বা জাপানের স্ট্যান্ডার্ড ইউরোপের স্ট্যান্ডার্ড কাছাকাছি।

তবে আলোচনায় আছে একাধিক মেগা প্রকল্পে কাজ করা ৪০ হাজার শ্রমিকের বিষয়টিও। এরই মধ্যে হাঙ্গেরি থেকে চাহিদা আছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের শ্রমিকদের।

বাংলাদেশে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর গাফিলতির কারণে অনেক সময় চাকরিপ্রার্থীরা প্রতারিত হন। বিষয়টি মাথায় রেখেই এগুচ্ছে সরকার।

উল্লেখ্য, প্রায় দুই বছর ধরে বাংলাদেশের সঙ্গে ইইউর বৈধ পথে অভিবাসনের বিষয়ে আলোচনা চলছে। গত ৪ ও ৫ মার্চ ব্রাসেলসে এ নিয়ে আলোচনাও করেছে দুই পক্ষ।