বুন্দেসলিগায় গোলের রেকর্ডের পাতায় লেভানদোভস্কি

ভলফসবুর্গের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয়ে বুন্দেসলিগায় শীর্ষ বেয়ার লেভারকুসেনের সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান একে কমালো বায়ার্ন মিউনিখ। আর এই ম্যাচের নায়ক রবার্ট লেভানদোভস্কি সমতা ফেরানো গোলটি করে দ্বিতীয় দ্রুততম খেলোয়াড় হিসেবে ২৫০ লিগ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করলেন। দলের দ্বিতীয় গোলটিও করেন তিনি।

ম্যাক্সিমিলিয়ান ফিলিপের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ভলফসবুর্গ। তবে বিরতিতে যাওয়ার মুহূর্তে চমৎকার হেডে সমতাসূচক গোল করেন লেভানদোভস্কি। ইউরোপের বর্ষসেরা ফুটবলার ওই গোলে গার্ড মুলার (৩৬৫) ও ক্লাউস ফিসকারের (২৬৮) পর তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে বুন্দেসলিগায় ২৫০ গোলের মাইলফলকে পৌঁছান। তবে অ-জার্মান হিসেবে তিনিই প্রথম।

৩২ বছর বয়সী পোলিশ স্ট্রাইকারের এই মাইলফলক স্পর্শ করতে লেগেছে ৩৩২ ম্যাচ। ফিসকারের (৪৬০) চেয়েও কম ম্যাচ খেলে এই কীর্তি অর্জন করলেও বায়ার্ন গ্রেট মুলারের (২৮৪) সঙ্গে ব্যবধানটা বেশ বড়।

লেভানদোভস্কি বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের সঙ্গে ১৩১ ম্যাচ খেলে করেছিলেন প্রথম ৭৪ গোল। বায়ার্নের হয়ে ২০১ ম্যাচ খেলে করলেন ১৭৬ গোল। খুব একটা বেঞ্চে থাকতে দেখা যায়নি তাকে। ৩৭ ম্যাচে বদলি নেমে করেছেন ১৬ গোল। ২৫০ গোলের মধ্যে ৪৩টি ছিল বাঁ পায়ে, ডান পায়ে ১৬৪টি এবং ৪১টি হেড থেকে। শরীরের অন্যান্য অংশ থেকে দুটি। বক্সের বাইরে থেকে লেভানদোভস্কির গোল ১৬টি এবং ভেতর থেকে ২৯টি পেনাল্টিসহ ২৩৪ গোল।

২০১০ সালে ডর্টমুন্ডের সঙ্গে চুক্তি করেন এবং প্রথম দুটি মৌসুমে দলকে জেতান বুন্দেসলিগা। চার বছর পর জার্মানির সবচেয়ে বড় দল বায়ার্নে যোগ দেন লেভানদোভস্কি। ২০১৪ সাল থেকে আছেন বাভারিয়ানদের সঙ্গে, এখানে প্রত্যেক মৌসুমেই পেয়েছেন বুন্দেসলিগা ট্রফির স্বাদ। আর গত মৌসুমে জিতেছেন প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা।