ঘরের মাটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

সিলেট টেস্টের পরে চট্টগ্রাম টেস্টেও হেরে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবল বাংলাদেশ। ঘরের মাটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারলেও ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। সাদা বলে এক সিরিজ হারলেও দারুণ লড়াই করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু টেস্টে সেই লড়াইয়ের ছিটেফোঁটাও দেখা গেল না।

আজ বুধবার (৩ এপ্রিল) চট্টগ্রাম টেস্টের পঞ্চম দিনের খেলায় মাঠে নামে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। দিনটিতে ২৪৩ রানের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের সামনে। যেখানে হাতে ছিল মাত্র ৩ উইকেট। তাই হাতে সময় থাকলেও প্রয়োজনীয় শক্তি ছিল না দলের কাছে। তাতে অনুমিত হারই শেষ পর্যন্ত দেখেছেন টাইগার বাহিনী।

ব্যাটিং ব্যর্থতাই কাল হয়ে দাঁড়াছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য। একের পর এক ম্যাচে ভালো ব্যাটিং করতে না কারণে পরাজয়ের মুখোমুখি হতে হচ্ছে টাইগারদের। লিটন, শান্ত, মুশফিকরা রান না পাওয়ায় ধারাবাহিকতায় সিলেট টেস্টের পরে চট্টগ্রাম টেস্টেও হেরে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবল বাংলাদেশ।

এই ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছে ১৯২ রানে। এর আগে সিলেট টেস্টে ৩২৮ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছিল স্বাগতিকরা। দুই টেস্টের তিন ইনিংসেই বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতা দেখা গেছে। তবে সিরিজের শেষ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে তুলনামূলক ভালো করেছে বাংলাদেশ। ৩১৮ রান স্কোরবোর্ডে জমা করতে পেরেছে দলটি। এই রান করতে বড় অবদান রেখেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তিনি শেষ পর্যন্ত ১১০ বলে ৮১ রান করে অপরাজিত ছিলেন।

২য় ইনিংসে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন মুমিনুল হক। এছাড়া লিটন দাস ৩৮, সাকিব আল হাসান ৩৬, মাহমুদুল হাসান জয় ২৪, অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ২০, জাকির হাসান ১৯ এবং তাইজুল ইসলাম ১৪ রান করেন। বাকিদের কেউ ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কের কোঠা। এর আগে এই টেস্টের প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কা ৫৩১ রান করেছিল। তবে এত বড় রান সংগ্রহে কোনো ব্যাটার সেঞ্চুরি করেননি। তাতে একটি মাইলফলকও স্পর্শ করে লঙ্কানরা। এরপরে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস শেষ হয় মাত্র ১৭৮ রানে। তাতে শ্রীলঙ্কার লিড থাকে ৩৫৩ রান।

 

বাংলাদেশকে ফলোঅন না করিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার দল। এবার তারা ১৫৭ রান যোগ করে ইনিংস ঘোষণা করে। সবমিলিয়ে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫১১ রানের। দলটির বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের গতিপথ হিসেব করে চতুর্থ দিনেই খেলা শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মিরাজের দৃঢ়তায় পঞ্চম দিনে খেলা গড়ায়। তাতে হারের ব্যবধান কমা ছাড়া আর কোনো লাভই হয়নি। ঘরের মাটিতে ধবলধোলাই হতে হয়েছে।