মায়ের মৃত্যুর পর অতিরিক্ত পার্টি-মদে ডুবে আছেন রোনালদিনহো, উদ্বিগ্ন বন্ধুরা

গত বছরটা বেশ উথাল-পাতাল সময়ের মধ্যে কেটেছে বার্সেলোনার সাবেক তারকা ও ব্রাজিলের বিখ্যাত ফুটবল খেলোয়াড় রোনালদিনহোর। জাল পাসপোর্ট দিয়ে প্যারাগুয়েতে প্রবেশ করায় করোনাকালীন প্রায় পুরোটা সময়ই তিনি সেই দেশটির জেলে ছিলেন।

সেই যন্ত্রণা তরতাজা থাকতেই গত ফেব্রুয়ারিতে আরেকটি হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে রোনালদিনহোর জীবনে। মা ডোনা মিগুয়েলিনাকে হারান ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কিংবদন্তি।

এমনিতে বেপরোয়া জীবন, পার্টি, অ্যালকোহলের প্রতি বেশ দুর্বল তিনি। এসবের কারণে তার আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তার ক্যারিয়ারও শেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তবুও এসব থেকে বের হতে পারেননি। তার মধ্যে ৪০ বছর বয়সে এসে জীবনের বড় দুই দুর্ঘটনায় যেন আরও বেশি ছন্নছাড়া ও বেপরোয়া হয়ে ওঠেছেন রোনালদিনহো।

সম্প্রতি সারাদিন মদ্যপানে ডুবে আছেন বার্সেলোনা-এসি মিলানের সাবেক প্লে-মেকার। যার কারণে তার অন্তরঙ্গ বন্ধু ও কাছের লোকজন বেশ উগ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) স্প্যানিশ ক্রীড়ামাধ্যম মার্কা এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে।

ব্রাজিলিয়ান পত্রিকা এক্সট্রা’কে রোনালদিনহোর এক বন্ধু জানান, ‘প্রতিদিন পার্টি। রোনালদো (রোনালদিনহো) সকালে ভোদকা, হুইস্কি, জিন পান শুরু করে এবং পরেরদিন সকালে ছাড়ে। ’

তিনি আরও বলেন, ‘এটা খুব বেশিদিন হচ্ছে না। তবে আমরা লক্ষ্য করেছি, তার মায়ের মৃত্যুর পর সে আরও তীব্রভাবে মদপানে আসক্ত হয়ে পড়েছে। ’

কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে তার মায়ের মৃত্যু সত্ত্বেও, রোনালদিনহো তার স্বভাব পরিবর্তন করেনি, জানান ব্রাজিলিয়ান তারকার বন্ধু। তার আরেক বন্ধু বলেন, ‘তার নিউ ইয়ারের সান্ধ্য পার্টি এবং সবকিছু ছিল। রিও’র কয়েকজন বন্ধু তার ওখানে গিয়েছিল কারণ সে যেখানে থাকে সেখানে খুব একাকীত্ববোধ করছিল। সে বারবিকিউ করে, নাচে, যা সে সবসময় করে। ’

রোনালদিনহোর বড় হৃদয়ের প্রশংসা করে তার সেই বন্ধু আরও বলেন, ‘তার যা প্রয়োজন সেসব নিয়ে সে এক দূর্গে বাস করে। সে খুব বড় হৃদয়ের মানুষ এবং তার বন্ধুদের সঙ্গে সে উদার হওয়ার চেষ্টা করে। তবে তাদের সবাই সত্যিকারের বন্ধু নয় এবং আমি দেখছি, তাতে তার খুব ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। ’

এক্সট্রা প্রতিবেদনে আরও জানায়, সেসব বন্ধুদের মধ্যে জেসিকা কাস্ত্রো নামে একজন রয়েছেন যিনি মাঝেমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রোনালদিনহোর বারবিকিউ পার্টির ছবি আপলোড করেন। ’