বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়ে সেমির পথে পিএসজি

গতকাল বুধবার রাতে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের গতবারের দুই ফাইনালিস্টের লড়াই উত্তাপ ছড়িয়েছে। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখের মুখোমুখি হয়েছিল রানার্স-আপ পিএসজি। কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে গতবারের দুই সেরার লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত ৩-২ গোল ব্যবধানে হারিয়ে শেষ হাসিটা হেসেছে পিএসজি।

বায়ার্নের মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় তুষারপাতের মাঝেও উত্তাপ ছড়িয়েছে। ম্যাচের শুরুতেই মাত্র ৩ মিনিটের মাথায় নেইমারের অ্যাসিস্টে দলকে এগিয়ে দেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। এরপর আরও বেশি আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে দু’দল। আর তার ফলটা যায় পিএসজির পক্ষে। ম্যাচের ২৭তম মিনিটে মারকুইনহোসনের করা গোলে ব্যবধান হয় ২-০। এবারও সেই নেইমারের অ্যাসিস্ট।

অতঃপর ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে পিএসজিকে চেপে ধরার চেষ্টায় সফলতা পায় বায়ার্ন। ম্যাচের ৩৭তম মিনিটের মাথায় ডি বক্সের মধ্যে আনমার্ক এরিক ম্যাক্সিমের হেডে জাল খুজে নেয় বল। কেইলর নাভাসকে নার্ভাস করে ব্যবধান ২-১ নিয়ে আসে বায়ার্ন। বিরতি থেকে ফেরার পর পিএসজির গোল-রক্ষককে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করে বায়ার্ন। এবার ম্যাচের ৬০তম মিনিটের মাথায় গোল ব্যবধান সমান করে বায়ার্ন। ফ্রি কিক থেকে জশুয়া খিমিচের নেওয়া কিকে থমাস মুলারের আলতো ছোঁয়া। তাতেই পরাস্থ হন নাভাস। ম্যাচ সমতায় ছিল কেবল ৭ মিনিট।

ম্যাচের ৬৮তম মিনিটের মাথায় আবারও কিলিয়ান এমবাপ্পের আঘাত বায়ার্নের জালে। ডি মারিয়ার পাস ডি-বক্সে পেয়ে বল জালে পাঠান ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী তারকা। এরপর বাকিটা সময় গোল দিতে মরিয়া হয়ে ওঠে স্বাগতিক বায়ার্ন মিউনিখ। তবে করতে পারেনি কোনো গোল। ৩-২ গোলের দারুণ এক জয়ে গতবার ফাইনালে হারের প্রতিশোধ নিয়ে দেশে ফেরে পিএসজি। আগামী ১৪ এপ্রিল ফিরতি লেগে পিএসজির মাঠে লড়বে বায়ার্ন।