সমর্থককে লাথি মারায় নিষিদ্ধ এভরা

এরিক ক্যান্টোনার কথা ভুলেই ছিলেন ফুটবল অনুরাগীরা। কিন্তু তাকে আর কই ভুলতে দিলেন প্যাট্রিস এভরা? তার ১৯৯৫ সালের সেই ঘটনার কথা আবার মনে করিয়ে দিলেন এই ফরাসি ডিফেন্ডার।

গেলো বৃহস্পতিবার ইউরোপা লিগে অলিম্পিক মার্শেই ও পর্তুগালের ভিটোরিয়া গুইমারাইসের ম্যাচ শুরুর আগে অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্ম দেন এভরা। নিজ দলের এক সমর্থকের মাথায় ‘অ্যাক্রোবেটিক’ স্টাইলে লাথি মেরে শুধু লাল-কার্ডই দেখেননি, উয়েফার কড়া শাস্তির মুখেও রয়েছেন তিনি।

তবে উয়েফার আগেই বর্তমান ক্লাব মার্শেই তাকে নিষিদ্ধ করেছে। এভরার এমন আচরণে ক্ষুব্ধ ক্লাবের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়, সমর্থকদের বিদ্রুপ, গালিগালাজের সামনে পড়লে কীভাবে আত্মসংযম দেখাতে হবে তা জানা উচিৎ একজন পেশাদার ফুটবলারের। তাকে সাময়িক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তলবের জন্যও ডাকা হয়েছে।

পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইউরোপ ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থাও। শোনা যাচ্ছে, বেশ কয়েক মাস এভরাকে নির্বাসিত করতে পারে উয়েফা। তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের তদন্ত শুরু হয়েছে। সিদ্ধান্ত জানা যাবে আগামী ১০ নভেম্বর। ওই দিন শুনানির জন্য ফ্রান্স জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ককে ডাকা হয়েছে। আপাতত লাল-কার্ড দেখার জন্য এক ম্যাচের শাস্তি বহাল থাকছে তার ওপর।

এখন এভরার বয়স ৩৬। ফ্রেঞ্চ ফুটবল মহলে আশঙ্কা, সমথর্ক পেটানোর ঘটনা তার ফুটবল জীবনে ইতি টেনে দেবে। ম্যাচে বিপক্ষ অধিনায়ক পাওলো হুর্তাদোর গোলে ০-১তে হারে মার্শেই।

ম্যাচ শুরুর আগে স্টেডিয়ামে সতীর্থদের সঙ্গে অনুশীলন করছিলেন এভরা। সেই সময়ই বিলবোর্ড-এর কাছে জড়ো হওয়া শ’ দু’য়েক মার্শেই সমর্থক এভরাকে গালিগালাজ ও বাজে উক্তি করেন। গালিগালাজ বাড়লে সমর্থকদের দিকে তেড়ে যান তিনি। সতীর্থরা শুরুতে তাকে বাঁধা দিলেও পরেই দেখা যায় গ্যালারির এক সমর্থকের মাথায় লাথি মারেন ফরাসি রক্ষণরসেনা।

সমর্থকরাও কম যাননি। পাল্টা আক্রমণে দলবদ্ধ হয়ে তেড়ে যান এভরার দিকেও। নিরাপত্তারক্ষীরা সরিয়ে নিলেও রেফারি এ ঘটনার পর লাল-কার্ড দেখিয়ে ড্রেসিংরুমে পাঠিয়ে দেন এভরাকে।

এর আগে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের জায়ান্ট দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ৮ বছরের খেলোয়াডড়ি জীবনে অনেক শিরোপা জেতেন এভরা। গেলো জানুয়ারিতে জুভেন্টাস থেকে মার্শেইতে পাড়ি দেন তিনি। তবে প্রথমদিকে দলে নিয়মিত ছিলেন না।

১৯৯৫ সালে সেলহার্স্ট পার্কে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং ক্রিস্টাল প্যালেস ম্যাচে বিপক্ষ টিমের সমর্থক ম্যাথু সাইমন্স-এর বুকে ‘কুংফু কিক’ মেরে লাল-কার্ড দেখেন ক্যান্টোনা। যে ঘটনার পর ইংলিশ এফএ ৮ মাস নির্বাসিত করেছিল তাকে। এমনকি, এ ঘটনার জেরে ফ্রান্সের অধিনায়কত্বও হারান তিনি। এমনকি সপ্তাহ দু’য়েক কারাবাসও করতে হয়েছিল তাকে। শেষমেশ ৭ মাস নির্বাসনের পর ফের ফুটবল মাঠে প্রত্যাবর্তন ঘটে তার।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫১ ঘণ্টা, ০৪ নভেম্বর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসডিএম