প্রথম ইনিংসে ১৮৮ রানে অলআউট বাংলাদেশ

স্বীকৃত ব্যাটারদের আসা যাওয়ার মিছিলে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন নাইটওয়াচম্যান হিসেবে মাঠে নামা তাইজুল ইসলাম। গড়েছিলেন দারুণ প্রতিরোধ। কিন্তু তার প্রতিরোধ ভাঙে লাঞ্চের পরপরই। এরপর সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও শরিফুলের ব্যাটে কিছুটা আগালেও লঙ্কানদের বড় লিড এড়াতে পারেননি তারা। দুইশর আগেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।

ব্যাটারদের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত দু’শর নিচেই, ১৮৮ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন তাইজুল ইসলাম। লঙ্কান পেসার বিশ্ব ফার্নান্দো ৪টি এবং কাসুন রাজিথা ও লাহিরু কুমারা নেন ৩টি করে উইকেট। প্রথম ইনিংসেই বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকলো ৯২ রান।

লঙ্কান পেসারদের তোপের মুখে প্রথম দিনের শেষ দিকে ৩ উইকেট হারিয়েছিলো বাংলাদেশ। আজ দ্বিতীয় দিন লাঞ্চের আগে আরও ৩ উইকেট হারিয়েছে তারা। আউট হয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয়, শাহাদাত হোসেন দিপু এবং লিটন দাস। লাঞ্চ বিরতি থেকে ফিরে এসে বাকি চার ব্যাটারও দ্রুত আউট হয়ে যান।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম দিনটিতে শাসন করেছিলো পেসাররা। দ্বিতীয় দিনেও পেসারদের দাপট থাকবে হয়তো, শুরুতেই সেই ইঙ্গিত মিলেছে।

বাংলাদেশ দলের ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় প্রথম দিন শেষ বিকেলে লঙ্কান পেসারদের সয়লাব ঠেকিয়েছেন। তবে দ্বিতীয় দিনের শুরুতে আর ঠেকাতে পারেননি। লাহিরু কুমারার বলে ব্যাটের কানায় লাগিয়ে স্লিপে ক্যাচ দেন তিনি। ধনঞ্জয়া ডি সিলভা সেই ক্যাচ তালুবন্দী করে জয় ফিরিয়ে দেন সাজঘরে। দলীয় ৫৩ রানেই পড়লো বাংলাদেশের চতুর্থ উইকেট। মাহমুদুল হাসান জয় আউট হলেন ৪৬ বলে ১২ রান করে।

এর আগে প্রথম দিন টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ধনঞ্জয়া ডি সিলভা (১০২) এবং কামিন্দু মেন্ডিসের (১০২) জোড়া সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ২৮০ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। ৩টি করে উইকেট নেন খালেদ আহমেদ এবং অভিষিক্ত নাহিদ রানা।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে একঘণ্টা সময় পান বাংলাদেশের ব্যাটাররা। কিন্তু এই এক ঘণ্টায় ৩টি উইকেট হারিয়ে বসে তারা। ৯ রানে জাকির হাসান, ৫ রানে নাজমুল হোসেন শান্ত এবং ৫ রানে আউট হয়ে যান মুমিনুল হক। দিন শেষে জয় ৯ রানে এবং তাইজুল অপরাজিত ছিলেন শূন্য রানে। বাংলাদেশের রান ছিল ৩ উইকেটে ৩২।