স্বামীর সঙ্গে সিলেটের ড্রিমল্যান্ড পার্কে ঘুরতে গিয়ে প্রাণ গেল নববধূর

স্বামীর সঙ্গে সিলেট শহর থেকে মাত্র কিলোমিটার ১৫ দূরে এই থিম পার্কটি সিলেট জকিগঞ্জ রোডে গোলাপগঞ্জ উপজেলার হিলালপুরস্থ ড্রিমল্যান্ড পার্কে ঘুরতে গিয়ে নিহত হয়েছেন মোনতাহা আক্তার সামিয়া (১৯) নামের এক লন্ডনী নববধূ। শনিবার (৩ আক্টোবর) সন্ধ্যায় পার্কে রাইড চড়তে গিয়ে দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান বলে জানিয়েছেন তার স্বামী।

স্বামী মো. রুহুল আলম জানান, শনিবার বিকেলে স্ত্রীকে নিয়ে ড্রিমল্যান্ড পার্কে বেড়াতে আসেন। একপর্যায়ে ‘ডেঞ্জার হোন্ডার রাইড’ চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন সামিয়া। পরে তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্পের এসআই জনি এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে লাশ রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।

নিহত মোনতাহা আক্তার সামিয়া বিয়ানীবাজার গোবিন্দশ্রী গ্রামের মো. রুহুল আলমের স্ত্রী। তার পৈত্রিক বাড়ি গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ এলাকায়। এক মাস আগে মায়ের সঙ্গে তিনি লন্ডন থেকে দেশে আসেন। এরপর রুহুল আলমের সঙ্গে বিয়ে হয় সামিয়ার।

মোঘল ঐতিহ্যে নির্মিত হয়েছে এর প্রবেশদ্বার। বিনোদনের জন্য এই পার্কে আছে ২৫টি রাইড। এতে স্থাপন করা হয়েছে বৃহত্তম ওয়েবপুলসহ আন্তর্জাতিক মানের ৯টি ওয়াটার রাইড। রয়েছে গানের তালে তালে জলরাশির নৃত্য।

পার্ক ড্রীমল্যান্ড ৪০ বিঘা জমি নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯ জানুয়ারী ২০০২ সালে। পরবর্তী সময়ে আরো ৬০ বিঘা জমি যুক্ত হয়। সিলেট-গোলাপগঞ্জ সড়কের পাশে গড়ে ওঠা ড্রীমল্যান্ড পার্কে পর্যটকদের জন্য রয়েছে বাম্পার কার, স্কাই ট্রেন, রোলার কোস্টার, মিউজিক্যাল ফাউন্টেইন, জায়ান্ট উটল, প্যারাট্রুপার, মিনি ট্রেন, সুইমিং বোর্ড, ডেঞ্জার হোন্ডার রাইড, নাইনডি মুভিসহ বিভিন্ন ধরনের ভিডিও গেমস।

Scroll to Top