ঢাকার ধামরাইয়ে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ হয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাত সাড়ে ৩টার দিকে ধামরাই পৌরসভার মোকামটোলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ধামরাই ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা সোহেল রানা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দগ্ধরা হলেন- অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম ওরফে নান্নু মিয়া (৬২), তার স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৫০), মেয়ে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সাথী আক্তার মৌ (২৩) ও ছেলে কলেজছাত্র সোহাগ (১৯)। তাদের বাড়ি ধামরাইয়ের বাইশাকান্দা ইউনিয়নের উত্তরপাড়া এলাকায়। তারা মোকামটোলা এলাকার আমেরিকা প্রবাসী ইব্রাহিম মিয়ার চারতলা ভবনের নিচতলায় ভাড়া থাকেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম। তিনি জানান আজ সকালের দিকে ধামরাই থেকে নুরুল ইসলাম ৪৮ শতাংশ দগ্ধ, সুফিয়া বেগম ৮০ শতাংশ দগ্ধ, সাথী আক্তার ১৬ শতাংশ দগ্ধ এবং সোহাগ হোসাইনকে ৩৮ শতাংশ অবস্থায় আনা হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসা শেষে তাদেরকে ভর্তি দেয়া হয়। বর্তমানে তাদের সবাইকে পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ড এর রেড জোনে রাখা হয়েছে। তাতে সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে জানান তিনি। ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নুর রিফফাত আরা বলেন, ভোর রাত চারটার দিকে আগুনে দগ্ধ চারজন রোগী রিসিভ করা হয়। তিনজনের অবস্থা সংকটাপন্ন থাকায় তাদের ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
ধামরাই ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সোহেল রানা বলেন, ধারণা করা হচ্ছে লিকেজ থেকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে পরিবারের চারজনই দগ্ধ হয়েছেন। তাদের অবস্থা আশংকাজনক বলে মনে হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, রাত ৩টার দিকে নিচতলায় বিকট শব্দ হয়। এরপর খবর পেয়ে ধামরাই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে প্রেরণ করেন।