মহামারী করোনাকালে তারকারা ঘরে বসে তাকাচ্ছেন পেছনে, পেরিয়ে আসা দিনগুলোতে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে \’থ্রোব্যাক\’-এর চল। হ্যাশট্যাগ থ্রোব্যাক দিয়ে কত কত ছবি ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছেন তাঁরা। তবে কেবল ছবিই নয়, নতুন খবর না থাকায় পুরোনো নানা গল্পও উঠে আসছে বিনোদন পাতায়।
১৯৯২ সালের কথা। তখন শাহরুখ খান, কাজল, আমির খান সবাই সংগ্রাম করছেন বড় পর্দায় প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য। শাহরুখ খান ও কাজলের বাজিগর ছবির শুটিং শেষ। তখন আমির খান শাহরুখ খানের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, সহশিল্পী হিসেবে কাজল কেমন? শাহরুখ সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, \’বাজে। খিটখিটে স্বভাবের। প্রচুর কথা বলে বিরক্ত করে। মোটামুটি পরিশ্রমী, তবে অভিনয়প্রতিভা কতটুকু কী আছে, তা-ও বুঝতে পারছি না। তুমি বরং অন্য সহশিল্পী দেখো।\’
এর কিছুদিন পরেই শাহরুখ বাজিগর ছবি রাশ ফুটেজ দেখলেন। পর্দায় কাজলকে দেখে তাঁর সব ভুল ভেঙে গেল। আমিরকে সঙ্গে সঙ্গে জানালেন, \’এই মেয়ে তো মনে হচ্ছে বড় পর্দার জাদুকর হবে। সে ক্যামেরাকে ম্যাজিক করে বশ করতে জানে। একটু খিটখিটে থাকলেও অসম্ভব মেধাবী কাজল।\’
নিজের এই ভুল থেকেই কি নাতীকালে শাহরুখ ও কাজল ইন্ডাস্ট্রির সেরা বন্ধুদের একজন হলেন। কাজল সম্পর্কে নিজের ভুল ধারণা নিয়ে শাহরুখ আর কাজল পরে কত হাসাহাসি করেছেন। শাহরুখ এরপর অনেকবার উপদেশের ভঙ্গিতে বলেছেন, প্রথম জানাশোনাতেই কারও সম্পর্কে ভালো বা খারাপ মন্তব্য না করতে। এই দুজনে জুটি বেঁধে একের পর এক উপহার দিলেন দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে, কাভি খুশি কাভি গম, কুছ কুছ হোতা হ্যায়, দিলওয়ালে, মাই নেইম ইজ খান-এর মতো তুমুল হিট ছবি। বড় পর্দায় শাহরুখ-কাজল এখনো আইকনিক জুটি।
: ফিল্মফেয়ার