‘বড় ছেলে’তে গ্লিসারিন ছাড়াই কেঁদেছেন মেহজাবিন

ঈদের টেলিভিশনের নাটক, টেলিছবি, চলচ্চিত্র থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনুষ্ঠান সহ কিছুতেই সবর উপস্থিতি মডেল ও অভিনয়শিল্পী মেহজাবিনের। তবে এবারের ঈদটা তার জন্য ছিল একটু অন্যরকম। ঈদে কয়েকটি নাটক-টেলিছবিতে দেখা গেলেও তার অভিনীত ‘বড় ছেলে’ শিরোনামের টেলিছবিটি হয়েছে দেশজুড়ে বেশ প্রশংসিত। শুধু তাই নয়, এর গল্প রয়েছে আলোচনার শীর্ষে। গল্পটি মধ্যবিত্ত ছেলের হলেও টেলিছবিতে বেশ নজর কেড়েছে মেহজাবিনের অভিনয়। তার অভিনয় দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করা নতুন কিছু নয়। তবে এই টেলিছবিতে তার উপস্থিতি আলাদা এক মাত্রা যোগ করেছে। তাই তো টেলিছবির পাশাপাশি প্রশংসার জোয়ারে ভাসছে তার অভিনয়।

‘বড় ছেলে’ টেলিছবি বেশ প্রশংসিত হয়েছে, এতে তার কেমন লাগছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “অবশ্যই ভালো লাগছে। ঈদের কাজ গুলো দর্শকদের জন্যই করা হয়। যখন কাজের জন্য প্রশংসা পাই তখন খুবই ভালো লাগে। এত কাজের মধ্যে যখন কেউ কোনো একটা কাজকে ভালো বলে প্রশংসা করে তখন এই ভালো লাগাটা কাজের ধারাকে আরও বাড়িয়ে তোলে। কাজ করতে আরও অনুপ্রেরণা পাই। এইজন্য ধন্যবাদ নির্মাতা মিজানুর রহমান আরিয়ান এবং জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ভাইকে এবং আমার ভক্তদের।টেলিছবির নামই ‘বড় ছেলে’। একটি ছেলের গল্প। প্রথমে ভেবেছিলাম যেহেতু ছেলের গল্প হয়তবা এতে আমি একটা অংশ হয়েই থাকব। তবে যখন কাজ শুরু হল তখন বুঝলাম এটি আসলে দুজনেরই গল্প। গল্পটা খুবই ইমোশনাল। তবে এতটা যে সাড়া ফেলবে ভাবিনি।”

টেলিছবির শেষ দৃশ্য মানুষকে কাঁদিয়েছে। এই দৃশ্য ধারণের সময়ের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে মেহজাবিন বলেন,“ দৃশ্যের জন্য আমাদের হাতে সময় খুবই কম ছিল। সূর্যের আলো নেমে যাবে ২০-২৫ মিনিট পর এমন অবস্থা। তাই আমাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শট দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে হয়েছিল। আমি আর অপূর্ব ভাই নিজেদের মধ্যে দৃশ্যটি আলোচনা করে নিজেদের মতো করে করার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়ে শট দেই। মজার ব্যাপার হল যখন আমরা সংলাপ বলা শুরু করলাম তখন এতটাই গভীরে চলে গিয়েছিলাম যে নিজের ভেতর থেকেই কান্না চলে এসেছিল। গ্লিসারিনও ব্যবহার করিনি আমি। শুধু তাই নয়, এনজি শটও হয়নি। এবং শট দেওয়ার পরও আমি কাঁদছিলাম। আসলে সংলাপগুলো এমন ছিল যা মনকে ছুঁয়ে যায়।”

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, ১১ সেপ্টেম্বর  ২০১৭

লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এস

Scroll to Top