একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হাতে ফুল নিয়ে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ঢল নেমেছে মানুষের।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টাসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর একে একে আসতে থাকেন হাজারও মানুষ। পলাশী থেকে সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ও জগন্নাথ হল হয়ে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এসে পৌঁছায় জনতার মিছিল।
শ্রদ্ধা জানানো শেষে সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রচলন না হওয়ার পাশাপাশি মাতৃভাষা চর্চায় নতুন প্রজন্মের অনীহা ও অনাগ্রহে হতাশা জানান প্রবীণরা। তবে মায়ের ভাষা চর্চা আর মর্যাদা রক্ষায় আরো সচেতন হওয়ার প্রত্যয় তরুণদের কণ্ঠেও।
তারা বলছেন, আমাদের ভাষা, আমার দেশ, আমার মা, আমার মাটি- সবকিছু নিয়েই আমাদের চিন্তাভাবনা সবকিছু নিয়ে আমাদের এগিয়ে চলা। আমরা যদি আমাদের ভাষায় কথা বলতে না পারি তাহলে এটা আমাদেরই ব্যর্থতা। তাই নিজেদের ভাষা ব্যবহারে তরুণদের আরও সচেতন হতে হবে।
শ্রদ্ধা জানায় ছাত্রদল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন। জুলাই গণ অভ্যুত্থানে আহতদের নিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জাতীয় নাগরিক কমিটি। শ্রদ্ধা জানায় নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও গণ অধিকার পরিষদ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেন, ‘বাংলাকে যেভাবে রাষ্ট্রীয়ভাবে পৃষ্ঠপোষকতার দরকার ছিল এখনও পর্যন্ত সরকার সেটি করতে পারেনি। দ্রতু সেই পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী শাসনামলে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর অধিকার থেকেও বঞ্চিত হয়েছে ছাত্র সংগঠন। দীর্ঘ বছর পর ছাত্রদল সুশৃঙ্খলভাবে সবাইকে নিয়ে আসতে পেরেছে।’
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, ‘চব্বিশের অভ্যুত্থানের স্পিরিটকে ধারণ করে ‘৫২-৭১ দ্বারা উজ্জীবিত হয়ে আগামীর বাংলাদেশ তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ থাকবে।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘৫২’র পথ ধরে একাত্তর হয়েছে। আর একাত্তরের যে আকাঙ্ক্ষা, সেটা ধরেই আমরা আজ নব্বই কিংবা চব্বিশের রক্তস্নাত অভ্যুত্থান তৈরি হয়েছে।’
অভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে নতুন বাংলাদেশ গড়ায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যয় জানান রাজনীতিবিদরা।