চট্টগ্রামে দুই পুলিশসহ ৫ জনের করোনা শনাক্ত

চট্টগ্রামে ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজে (বিআইটিআইডি) নমুনা পরীক্ষায় ৫ জনসহ মোট ৬ জনের শরীরের করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে দুইজন পুলিশ সদস্য রয়েছে।

করোনা শনাক্ত হওয়া ৪০ বছর বয়সী এক পুরুষের বাড়ি আনোয়ারা, ৪৫ বছর বয়সী নারীর বাড়ি পটিয়া, ২৫ ও ২৬ বছর বয়সী দুই ট্রাফিক কনস্টেবল দামপাড়া পুলিশ লাইন্সের বাসিন্দা এবং ৩০ বছর বয়সী মৃত নারী মমতাজ বেগম নিমতলা এলাকার বাসিন্দা।

মমতাজ বেগম ১৩ এপ্রিল মারা যান। বিআইটিআইডি’র একজন সহকারী সার্জন তার নমুনা সংগ্রহ করেন।

সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামে করোনা শনাক্ত হওয়া পাঁচজনের সবার নমুনা সংগ্রহ করা হয় ১৩ এপ্রিল।

করোন শনাক্ত হওয়া নোয়াখালীর সেনবাগের বাসিন্দা আলী আক্কাস ১৩ এপ্রিল মারা যান। ওইদিন সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরতরা তার নমুনা সংগ্রহ করে।

বুধবার (১৫ এপ্রিল) রাতে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন আরও ৬ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৫ জনের বাড়ি চট্টগ্রাম জেলায়। এখন পর্যন্ত মোট ১ হাজার ১৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, বুধবার আরও দুই পুলিশ কনস্টেবলের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এই দুইজন এর আগে করোনা শনাক্ত হওয়া পুলিশ সদস্যের সঙ্গে একই ভবনে বসবাস করতেন এবং তার সংস্পর্শে এসেছিলেন।

করোনা শনাক্ত হওয়া তিন পুুলিশ সদস্যই সিএমপির ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত বলে জানান এডিসি আবু বকর সিদ্দিক।

গত ৩ এপ্রিল চট্টগ্রামের দামপাড়ায় ৬৭ বছর বয়সী এক ব্যক্তির শরীরে প্রথম করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়। ৫ এপ্রিল ওই ব্যক্তির ২৫ বছর বয়সী ছেলের শরীরেও করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা হয়। পরে ৮ এপ্রিল ৩ জন, ১০ এপ্রিল ২ জন, ১১ এপ্রিল ৩ জন, ১২ এপ্রিল ৫ জন, ১৩ এপ্রিল ২ জন এবং ১৪ এপ্রিল ১২ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়।