বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক জিএমসহ ১২ জনের নামে দুদকের মামলা

রেলওয়ের সাবেক মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ ফারুক আহমদসহ ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে খালাসি নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (৩১ মার্চ) দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- তৎকালীন প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী বর্তমানে ঢাকা রেলভবনে কর্মরত মহাব্যবস্থাপক (প্রকল্প) মিজানুর রহমান (৫৭), রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সহকারী মহাব্যবস্থাপক জোবেদা আক্তার (৪২), সাবেক ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ার বর্তমানে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের টিএসও মো. রফিকুল ইসলাম (৪০), এমএলএমএস হারাধন দত্ত (৩৪), শাহজাহানপুর রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া সুলতানা (৬৩), খালাসি মো. আবুল বশর খাঁন (৩৪), রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সিপিও দপ্তরের প্রধান সহকারী খন্দকার সাইফুল ইসলাম মামুন (৪৪), টিকিট প্রিন্টিং প্রেস কলোনি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মৃণাল কান্তি দাশ (৫৫), শাহজাহানপুর রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মো. আক্তার হোসেন (৫৭), কুমিল্লার মেসার্স ফাতেমা এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর আমিরুজ্জামান আশীষ (৪৯) ও মোসাম্মৎ পারভীন আক্তার (৪৪)।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, ৮৬৩ জন খালাসি নিয়োগকালে নিয়োগ কমিটির পাঁচ সদস্যের মধ্যে দুইজন সদস্যের ইন্ডিভিজুয়াল মার্কশিট না থাকা, কম্বাইন্ড মার্কশিটে ৪ জনের নম্বর দেখানো হলেও একজনের মূল্যায়ন মার্ক অসৎ উদ্দেশ্যে সৃজন করে প্রতারণাপূর্বক ১৯ জনকে নিয়োগ প্রদান, দুইজন নিয়োগ প্রার্থীকে চার জেলা থেকে নিয়োগ, বয়স্ক ও জাল সনদধারী লোকদের জাল সনদ সৃজনপূর্বক ব্যবহার করে চাকরি প্রদান করার অসৎ উদ্দেশ্যে নিজেরা লাভবান হয়ে বা অন্যকে অন্যায় লাভে লাভবান করে অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক একে অপরের সহযোগিতায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ সম্পৃক্ত অপরাধ ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে ১ কোটি ২ লাখ ৪৪ হাজার টাকা গ্রহণ করে ভোগ দখল ও দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাচার করেছেন।

মামলায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিয়োগ প্রদান, ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে ১ কোটি ২ লাখ ৪৪ হাজার টাকা গ্রহণ করার অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ উপ সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন।

তিনি জানান, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে ৮৬৩ জন খালাসি নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে এমন অভিযোগ পেয়ে দুদক তথ্য অনুসন্ধান করে। তদন্তে খালাসি নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। দণ্ডবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১৬৩/১০৯ ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২) ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।