ত্রাণশিবিরে সিঁদুর মুছে নমাজ পড়তে বাধ্য হচ্ছেন হিন্দু রোহিঙ্গা মহিলারা

রোহিঙ্গা সমস্যায় এবার বলি হচ্ছেন হিন্দু রোহিঙ্গারা। বিশেষত মহিলারা। যাঁরা মায়ানমার থেকে বাংলাদেশের ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিচ্ছেন, তাঁদের উপর চলছে অকথ্য অত্যাচার। অভিযোগের তির, মুসলিম রোহিঙ্গাদের দিকেই।

সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে এই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন এক হিন্দু রোহিঙ্গা রমণী। ত্রাণশিবিরে আশ্রয় পেয়েছেন বটে। তবে তাঁকে ধর্মান্তরিত হয়েই বাঁচতে হচ্ছে। ওই মহিলার অভিযোগ, কালো কাপড়ে মুখ ঢাকা একদল লোক তাঁকে জঙ্গলের নিয়ে যায়। সেখানে তাঁকে বলা হয়, বাঁচতে গেলে নমাজ পড়তে হবে। এরপরই তাঁর সিঁদুর মুছে দেওয়া হয়। এয়োতির চিহ্নস্বরূপ থাকা শাঁখা ও পলা ভেঙে দেওয়া হয়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে শাড়ির বদলে বোরখা পরতেও বাধ্য করা হচ্ছে। এ তাঁর একার অভিযোগ নয়। শয়ে শয়ে হিন্দু রমণীরা এই পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন।

প্রসঙ্গত, রাখাইন প্রদেশে সেনা ও সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যে চলা সংঘর্ষ নিয়ে রবিবার মায়ানমার সেনার ওয়েবসাইটে এক বিবৃতি দেন সে দেশের সেনাপ্রধান। ওই বিবৃতিতে তিনি জানান, আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি’ পরিকল্পনা মাফিক হিন্দুদের গণহত্যা করছে। প্রমাণ স্বরূপ, রাখাইন প্রদেশের যে-বাও-কিয়া গ্রামে হিন্দুদের গণকবর খুঁজে পেয়েছে সেনাবাহিনী। শিশু ও মহিলা-সহ প্রায় ২৮ জন মানুষের লাশ পাওয়া গিয়েছে ওই কবরে।তিনি আরও জানান, টহল দেওয়ার সময় প্রবল দুর্গন্ধ পাওয়ায় ওই গ্রামে তল্লাশি চালায় সেনা।তখনই ওই কবরের হদিশ পাওয়া যায়।তাঁর বয়ানের সমর্থনে বেশ কিছু ছবিও দেওয়া হয় ওই ওয়েবসাইটে। ছবিগুলিতে দু’টি গর্তের পাশে বেশ কয়েকটি লাশ দেখা যাচ্ছে। হিন্দু রমণীদের ধর্মান্তরিত করানোর পিছনেও এই মুসলিম রোহিঙ্গা জঙ্গিরা সক্রিয় বলেই মনে করা হচ্ছে।

যদিও এই পুরো ঘটনাক্রম সম্পর্কে অন্ধকারেই আছেন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। কক্সবাজারের ডেপুটি কমিশনার মহঃ আলি হোসেন জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে তাঁদের হাতে কোনও নির্দিষ্ট তথ্য নেই। তবে এই ঘটনা যদি সত্যিই ক্যাম্পের মধ্যে হয়ে থাকে, তবে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।

বাংলাদেশ সময় : ১৭৪৫ ঘণ্টা, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭,
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এ