দাদা না থাকলে আমার পক্ষে একশ টেস্ট খেলা সম্ভব হতো নাঃ হরভজন

ভারতের প্রধান স্পিনার ছিলেন একসময়। কিন্তু হরভজন সিংয়ের শেষটা ভালো হয়নি। ৪০ বছর বয়সেও জাতীয় দলে ফেরার স্বপ্ন দেখেন তিনি। যে কারণে এখনও আনুষ্ঠানিক অবসর নেননি। তার ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বেশি প্রভাব সাবেক ভারত অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলীর। সৌরভের নেতৃত্বে ভয়ডরহীন এক বোলার হয়ে উঠেছিলেন হরভজন। ক্যাপ্টেন হিসেবে সৌরভ প্রতিটি বোলারকে স্বাধীনতা দিতেন। সেই সৌরভের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন হরভজন সিং।

সাবেক ক্রিকেটার আকাশ চোপড়ার সঙ্গে অনলাইন আলাপচারিতায় হরভজন বলেন, ‘আমার জীবনে সৌরভে গাঙ্গুলীর প্রভাব সবচেয়ে বেশি। কে আমার পাশে রয়েছে আর কে নেই, তা ক্যারিয়ারের একটা সময় আমি জানতামই না। সেই সময় সৌরভ আমার পাশে দাঁড়িয়েছিল। আমাকে সমর্থন করেছিল। দাদা সব সময় বোলারদের পাশে থাকত, স্বাধীনতা দিত। বোলার হিসেবে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠার জন্য যা যা দরকার, সে সব সুযোগই দিত।’

একসময় হরভজনের দিকে বিরূপ মনোভাব দেখাচ্ছিলেন ভারতের নির্বাচকেরা। তখন সৌরভ ছিলেন তার পাশে। ভাজ্জি আরও বলেন, ‘নির্বাচকরা এমন সব কথা বলতেন যেগুলো আমার পক্ষে সর্বসমক্ষে বলা সম্ভব নয়।

সেই সময় সৌরভ যদি অধিনায়ক না হতো, তাহলে অন্য কোনো অধিনায়ক আমাকে এতটা সাহায্য করত কিনা সন্দেহ আছে। যদি কোনো ক্রিকেটার আমার ক্যারিয়ারকে সবার সামনে তুলে ধরে থাকে, সেটা দাদাই করেছে। সে না থাকলে তাহলে আমার পক্ষে একশো টেস্ট খেলা সম্ভব হতো না।’