হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন সৌরভ

সৌরভ গাঙ্গুলি আগের থেকে অনেকটাই ভাল আছেন। তার ইকোকার্ডিওগ্রাফি পরীক্ষা করা হয়েছে সোমবার সকালে। রিপোর্ট সন্তোষজনক বলে চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন। তাঁর রক্তচাপ ও নাড়ির গতি স্বাভাবিক আছে। ৯ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড ইতিমধ্যেই গঠন করা হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠি মঙ্গলবার তাঁর টিম নিয়ে চাটার্ড বিমানে আসছেন। বাইপাস সার্জারি করার প্রয়োজন রয়েছে কি না, সে বিষয়ে তিনি মতামত দেবেন। যদিও মেডিক্যাল বোর্ডের তরফ থেকে জানা যাচ্ছে, এখনই বাইপাসের প্রয়োজন নেই।

সৌরভের হৃৎপিণ্ডের ৩টি ধমনীতে ‘ব্লক’ ধরা পড়েছে। ডান দিকের ধমনীতে অ্যাঞ্জিয়োপ্লাস্টি করে স্টেন্ট বসানো হয়েছে ইতিমধ্যেই। বাঁ দিকের দু’টি ধমনীতে অ্যাঞ্জিয়োপ্লাস্টি করতে হবে কি না, এফএফআর পরীক্ষা করে দেখা হবে। তারপরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আরও দু’টি স্টেন্ট বসানোর বিষয়ে।

পারফিউশন স্ক্যান করে দেখা হবে, ধমনীর ব্লক হৃৎপিণ্ডের পেশিকে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। হৃদ্‌রোগ চিকিৎসক সরোজ মণ্ডলর নেতৃত্বে সৌরভের চিকিৎসা চলছে। আজ, সোমবার বোর্ডের সদস্যেরা সৌরভের পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করবেন।

শনিবার সৌরভ হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরে বিদেশের চিকিৎসক ছাড়াও ভিন্‌ রাজ্যের কার্ডিয়োথোরাসিক সার্জন রমাকান্ত পাণ্ডা, ইন্টারভেনশনাল কার্ডিয়োলজিস্ট অশোক শেঠের সঙ্গেও আলোচনা করেছিলেন হাসপাতালের মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকেরা।

মেডিক্যাল বোর্ডে সৌতিকবাবু ছাড়াও আছেন হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞ সরোজ মণ্ডল, আফতাব খান, এসবি রায়, কার্ডিয়োথোরাসিক সার্জন ভবতোষ বিশ্বাস, কার্ডিয়াক অ্যানাস্থেটিস্ট পলাশ কুমার ও আশিস পাত্র।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবারই হাসপাতালে গিয়ে সৌরভকে দেখে এসেছিলেন। গিয়েছিলেন তৃণমূলের অন্যান্য মন্ত্রী, নেতারাও। রবিবারফোন করে সৌরভের স্ত্রী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর কাছে সৌরভের দ্রুত আরোগ্য কামনা করার পাশাপাশি সব রকম ভাবে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। পরে সৌরভের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। বোর্ড সচিব জয় শাহ আজ সোমবার, সৌরভকে দেখতেও আসতে পারেন। তাঁর সঙ্গে থাকতে পারেন বোর্ডের প্রাক্তন প্রধান এবং বিজেপির আর এক শীর্ষস্থানীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। এখন আর সরাসরি বোর্ড প্রশাসনে না থাকলেও অনুরাগের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক সৌরভের। তাঁর বোর্ড প্রেসিডেন্ট হওয়ার নেপথ্যে অনুরাগের বড় ভূমিকাও ছিল বলে শোনা যায়।

সূত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা