টাঙ্গাইলে স্ত্রীর টাকায় বিদেশে গিয়ে যৌতুকের জন্য নির্যাতন

টাঙ্গাইলে যৌতুকের জন্য প্রবাসী স্বামীর নির্দেশে সুমি আক্তার নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গত ৮ মার্চ ঘাটাইল উপজেলার শহরগোপিনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই গৃহবধূর বাবা শফিকুল ইসলাম মেয়েকে উদ্ধার করে থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।

এ প্রসঙ্গে পুলিশ সদস্য জানান, থানায় এ ধরনের মামলা হয় না, আদালতে করতে হবে। পরে তার বাবা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করান। সুমি আক্তার হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর ১০ মার্চ তার মা আসমা বেগম ৫ জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতে মামলা করেন।

জানা যায়, ২০১৬ সালে উপজেলার রসুলপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে সুমির সঙ্গে একই উপজেলার শহরগোপীনপুর গ্রামের জাফর আলীর ছেলে মিন্টু মিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে স্ত্রীর কাছে মিন্টু মিয়া দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। অন্যথায় তাকে তালাক দেওয়ার হুমকি দেন। নিরুপায় হয়ে সুমির বাবা তার মেয়ের সুখের জন্য বাধ্য হয়ে দুই লাখ টাকা দেন। সেই টাকা দিয়ে মিন্টু পাড়ি জমান মালয়েশিয়ায়। পরে আবারও একই অঙ্কের টাকা চেয়ে চাপ সৃষ্টি করা হয়। টাকা না দিতে পারায় প্রতিনিয়ত তার ওপর নির্যাতন চলায় শ্বশুর-শাশুড়ি, ননদ ও তার স্বামী। গত ৮ মার্চ আবারও নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয় ওই গৃহবধূকে।

নির্যাতিত গৃহবধূর অভিযোগ, নির্যাতনের ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি।

এ ঘটনার প্রসঙ্গে ঘাটাইল থানার পরিদর্শক বলেন, এ ঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি।