রাজধানীর খিলক্ষেতে গৃহবধূর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার, স্বামী আটক

রাজধানীর খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ এলাকার একটি বাসা থেকে শায়লা পারভীন জুঁই (২৭) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জুঁইয়ের স্বামী তরিকুল ইসলাম জনিকে আটক করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে বিকেলে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, জুঁই ফরিদপুর শহরের আলীপুরের খাঁ পাড়া এলাকার মৃত লাল মিয়া খানের মেয়ে। জুঁই স্বামী তরিকুল ইসলাম জনির সঙ্গে নিকুঞ্জ দুই এর আট নম্বর রোডের ৪২ নম্বর বাসার নিচ তলায় ভাড়া থাকতেন। নিহত জুঁইয়ের মেঝ ভগ্নিপতি মো. আলমগীর হোসেন জানান, জুঁই ইডেন মহিলা কলেজ থেকে ম্যানেজমেন্টে বিবিএ ও এমবিএ শেষ করেছেন। বিবিএ পড়ার সময়ে জুঁইয়ের সঙ্গে গত পাঁচ বছর আগে জনির বিয়ে হয়। তাদের তিন বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। জনি একটি কনস্ট্রাকশন কোম্পানি অ্যাকাউন্টস ম্যানেজার হিসেবে চাকরি করেন।

নিকুঞ্জের ওই বাসায় তাদের সঙ্গে একই ফ্ল্যাটে থাকেন তার বড়বোন কেয়া ও কেয়ার স্বামী আলম মিয়া। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে জুঁই তার মেঝ বোনকে ফোন দিয়ে তাদের সংসারের বিভিন্ন বিষয়ে কথাবার্তা বলেন। এরপর সকালে খবর পেয়ে বাসায় গিয়ে ফ্লোরে জুঁইয়ের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখি বলেও ভগ্নিপতি জানান।

স্বজনদের অভিযোগ, এটা নিশ্চিত হত্যাকাণ্ড। তা না হলে জুঁইয়ের শরীরে এত আঘাতের চিহ্ন এলো কীভাবে। খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বোরহান উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, সকালে খবর পেয়ে জুঁইয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য বিকেলে মরদেহ ঢামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মরদেহের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। স্বামীর মারধরের কারণেই তার মৃত্যু হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। জুঁইয়ের স্বামীকে আটক করা হয়েছে। বিস্তারিত তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।