চুয়াডাঙ্গায় জামাল নামে এক যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে জখম

চুয়াডাঙ্গায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে জামাল উদ্দিন নামে এক যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। আশংকাজনক অবস্থায় জামাল উদ্দিনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আহত জামাল উদ্দিন একই গ্রামের বাগানপাড়ার মৃত দুখি মণ্ডলের ছেলে।

এতে আহত জামাল উদ্দিন জানান, দীর্ঘদিন ধরে চুয়াডাঙ্গা ছাগল ফার্ম সংলগ্ন একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করে আসছি। মাঝেমধ্যে গ্রামের বাড়ি গাড়াবাড়িয়ায় বেড়াতে যাই। গ্রামের মৃত ঘুনাবাক্সের ছেলে আব্দুল কাদেরের সাথে আমার দীর্ঘদিন ধরে জমাজমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। রাত ৯টার দিকে গ্রামের একটি পিয়াজুর দোকানে গেলে পূর্ব বিরোধের জের ধরে আব্দুল কাদেরের নেতৃত্বে দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে দীননাথপুর গ্রামের মাঠপাড়ার মৃত আলী শেখের ছেলে সিদ্দীক আলী, মৃত হবিমুল্লাহ’র ছেলে নাজিম উদ্দিন, গাড়াবাড়িয়া গ্রামের বাগানপাড়ার তাহাজুদ্দিনের ছেলে আবু সামা ও জনৈকের ছেলে নজরুল ইসলাম নজু আমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও অস্ত্রের উলটা পিঠ দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয় ব্যক্তিরা আমাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, আহত জালাল উদ্দিন শঙ্কামুক্ত নয়। তার ঘাড়ে, দুই হাত, দুই পা, বুক ও পিঠসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে ধারালো অস্ত্রের কোপ ও জখমের চিহ্ন আছে। অসংখ্য সেলাই দেয়া হয়েছে।

এদিকে, চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি জানান, ঘটনার পর হাসপাতালে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়। এ বিষয়ে কেউ কোনও অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলেই তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।