ঢাবি শিক্ষার্থী মেহেদী মোস্তাফা হত্যা: বিচার দাবিতে রাজু ভাস্কর্যে মানববন্ধন

ঢাবির আইন বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী মেহেদী মোস্তফাকে হত্যার প্রতিবাদে রাজু ভাস্কর্যের মানববন্ধন করেছে তাঁর বন্ধু, সহপাঠী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

শনিবার বেলা একটায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক বর্তমান শিক্ষার্থী বৃন্দ ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সাবেক ও বর্তমান অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের সন্তান মেহেদী মোস্তফা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের শিক্ষার্থী। পড়াশোনা শেষ করে তিনি আইন প্র্যাকটিস করছিলেন। পারিবারিক কলহের জের ধরে তিনি গত ১৬ জুন খুন হয়েছেন। কয়েকদিন পার হলেও পুলিশ খুনিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

মেহেদী মোস্তফাকে হত্যার প্রতিবাদে রাজু ভাস্কর্যে প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে সামাজিক গুরুত্ব বজায় রেখে মানববন্ধনে অংশ নেন সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। এই মানববন্ধনে যোগ দেন শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও।

জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মেহেদী মোস্তফার বন্ধু ও জহুরুল হক হলের শিক্ষার্থী হাসান রাশিদুজ্জামান বিপ্লব।

তিনি বলেন, ‘আমার বন্ধু মেহেদী মোস্তফা ছিলেন নম্র ভদ্র মানুষ। তাঁকে হত্যা করেছে একদল সন্ত্রাসী। অতি দ্রুত এই সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। মেহেদি মোস্তফাকে আমরা আর ফিরে পাবো না। মেহেদী যাদের দ্বারা বা যার দ্বারা নির্মমতার শিকার হয়েছেন তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে আমাদের সবার শোকের মাতম কিছুটা লাঘব করবেন। আমার বন্ধুর আত্মার প্রশান্তি কামনা করি। তার জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।’

কবি জসিম উদ্দিন হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান রনি বলেন, আমার বন্ধু মেহেদী মোস্তফার হত্যার প্রতিবাদ জানাতে রাজু ভাস্কর্যে দাঁড়িয়েছি। মোস্তফা আমার টাঙ্গাইলের কৃতি সন্তান ছিলেন। আইন বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী তার মতো একজন ভদ্র ছেলে ছিলেন। আমরা যখন তার সাথে কথা বলতাম আড্ডা দিতাম সে ছিল সব সময় মৃদুভাষী কম কথা বলতেন। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান ছিলেন তিনি। পারিবারিক সহিংসতা কিংবা যেভাবেই হোক তাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার তিন দিন পেরিয়ে গেলেও খুনি জিহাদকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অপরাধীদের ধরার ক্ষেত্রে সফলতা দেখিয়েছে। আমরা আশাবাদী এই ঘটনায় খুনিদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হবে।’

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও শহীদ সাতজন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসিফ তালুকদার, কবি জসিম উদ্দিন হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ আরিফ হোসেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সোহাগ, উপ-সম্পাদক রিয়াদ হাসান ও কবি জসিম উদ্দিন হল শাখার ও ছাত্রলীগের সাবেক উপ সম্পাদকলতিফুল ইসলাম নিপুল।