শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের ঘোষণার দাবি

সোমবার (৫ অক্টোবর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সমানে মুজিববর্ষকে অবিস্মরণীয় ও চির অম্লান করে রাখতে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ ঘোষণার দাবিতে শিক্ষক সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরাম।

এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম রনি। এসময় বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের শতকরা ২৫ শতাংশ ঈদ বোনাস দীর্ঘ ১৬ বছরেও পরিবর্তন হয়নি। এক হাজার টাকা বাড়িভাড়া ও ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং সামান্য বেতন নিয়ে করোনার এ দুঃসময়ে গৃহবন্দি শিক্ষক-কর্মচারীরা চরম অর্থকষ্টে দিনযাপন করছেন। তাই অবিলম্বে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ ঘোষণা করে জাতির জনকের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে হবে।

তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বহু আগেই মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ হতো। অবিলম্বে বেসরকারি কলেজের অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি, শিক্ষকদের জন্য বদলি ব্যবস্থা চালু, গ্রেড জটিলতা নিরসন, কলেজ শিক্ষকদের অনুপাত প্রথা বাতিলসহ মুজিববর্ষে এ শিক্ষাব্যবস্থাকে জাতীয়করণ ঘোষণা এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।

সমাবেশে জানানো হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আয় ফেরত নিয়ে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ করা হলে সরকারের রাজস্বে তেমন কোনো ঘাটতি হবে না। এছাড়া শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করণ এবং এসডিজি-৪ বাস্তবায়নে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের কোনো বিকল্প নেই। আর শিক্ষা জাতীয়করণ করা হলে সব থেকে বেশি লাভবান হবে দরিদ্র জনগোষ্ঠী।