সিঙ্গাপুরে অচেতন সেই বাংলাদেশি প্রথম সন্তানের জন্ম

সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে অচেতন রয়েছেন বাবা। অথচ এ সময়ই তিনি প্রথম হয়েছেন সন্তানের বাবা। বাংলাদেশের হাসপাতালে জন্ম নিয়েছে ফুটফুটে ছেলে সন্তান। অচেতন থাকায় বাবার কানে এখনো এ সংবাদ পৌঁছানো যায়নি। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে ঠাঁই হয়েছে ৩৯ বছর বাংলাদেশি বাবার। কভিড-১৯ থেকে মুক্ত হলেও তিনি সংকটাপন্ন অবস্থায় অচেতন হয়ে পড়ে আছেন হাসপাতাল শয্যায়।

এ পরিস্থিতিতে গত সোমবার বাংলাদেশের একটি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার স্ত্রী জন্ম দেন ছেলে সন্তানের। মা আর নবজাতক সুস্থ আছে বলে জানিয়েছে সিঙ্গাপুরের মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার্স সেন্টার (এমডব্লিউসি)। দুই মাস আগে ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে ওই ব্যক্তির দেহে করোনা ধরা পড়ে। তিনি ছিলেন সিঙ্গাপুরে এই ভাইরাসে আক্রান্ত ৪২তম ব্যক্তি।

গত মঙ্গলবার এক ফেসবুক পোস্টে এমডব্লিউসি জানায়, কভিড-১৯ থেকে সুস্থ হওয়ার পর কিছুদিন আগে তাকে দেশটির ন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনফেকশাস ডিজিজ থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এরপর থেকে সরকারি একটি হাসপাতালের আইসিইউতে তার চিকিৎসা চলছে বলে জানিয়েছে সিঙ্গাপুরের দ্য স্ট্রেইট টাইমস।

এর আগে বাংলাদেশের হাইকমিশন জানিয়েছিল, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আগে থেকেই ওই ব্যক্তির শ্বাসকষ্ট, কিডনি সমস্যা এবং নিউমোনিয়া ছিল।

এমডব্লিউসির ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘তার অবস্থা এখনও সংকটাপন্ন; কিন্তু সাম্প্রতিক এই খবরে (সন্তান জন্মের) আমরা উৎসাহিত হয়েছি এবং আবারও সবাইকে তার জন্য প্রার্থনা করার আহ্বান জানাচ্ছি।’

পোস্টের সঙ্গে নবজাতকের একটি ছবিও জুড়ে দিয়েছে এমডব্লিউসি। সংগঠনটি আরও জানায়, বাংলাদেশের একটি হাসপাতালে সন্তানের জন্ম দেওয়ার আগে ভিডিও কলে অসুস্থ স্বামীকে দেখেছেন তার স্ত্রী।

ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে বাংলাদেশি ওই শ্রমিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। পরে তাকে সিঙ্গাপুরেই একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কয়েকদিন পর তিনি সুস্থ হলে তাকে দেশটির ন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনফেকশাস ডিজিজ থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। কিন্তু এরপর থেকে সরকারি একটি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিউ) তার চিকিৎসা চলছে। সেখানেই ওই বাংলাদেশি অচেতন অবস্থায় চিকিৎসাধীন বলে দেশটির সংবাদমাধ্যম খবরে বলা হয়।